ইউক্রেনের বুকে রাশিয়ার নতুন করে হানা (Russia-Ukraine War) নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। চীনের (China) বিদেশ মন্ত্রক সোমবার দুপক্ষকেই সংযত থাকার আর্জি জানিয়েছে।
চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, আমরা আশা করি পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। অন্যদিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (MEA S Jaishankar) সোমবার বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে কারও লাভ হচ্ছে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের যুদ্ধের বা হামলার বিরোধী ভারত (India)। গোটা বিশ্বের প্রতিটি দেশের উপর তা প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন:Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ রাশিয়ার হতাহত বহু
অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি উয়ংয়ের সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ভারতের প্রতিক্রিয়া দেন। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) সাধারণসভায় (General Assembly) রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনতে চলা খসড়া প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে নয়াদিল্লির কী ভূমিকা হবে, তা প্রকাশ্যে জানাতে অস্বীকার করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টতই যুদ্ধের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, আগামী মঙ্গল অথবা বুধবার এই প্রস্তাব আসছে রাষ্ট্রপুঞ্জে।
এদিকে, রণক্ষেত্রের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে আরও বিশদে জানা গিয়েছে। রাশিয়ার দাবি, তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি নির্ভুল নিশানায় আঘাত হেনেছে। ইউক্রেনীয় পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, রুশ হানায় অন্ততপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু, জখম হয়েছেন ৬০ জন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President Vladimir Putin) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিমিয়া সেতুতে আক্রমণের বদলা নিতেই এই হামলা। যদিও ইউক্রেনও বলেছে, তারা এই হানাদারি পালটা জবাব দেবে।
তার উত্তরে পুতিন বলেছেন, ক্রিমিয়া সেতুতে (Cremea Bridge) বিস্ফোরণের মতো আর কোনও হামলা হলে রাশিয়া ফের যোগ্য জবাব দেবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি (President Volodymyr Zelenskiy) এই পরিস্থিতিতে জি-৭ এর বৈঠক ডাকার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওল্ফ স্কোলজ রাশিয়ার হানাদারির পরই গ্রুপ সেভেনে জরুরি বৈঠক ডাকার প্রস্তাব দেন। তাতে সম্মতি জানিয়েছেন জেলেনস্কি।