সোমবার সকাল থেকে ক্রিমিয়া সেতু ধ্বংসের বদলা নিতে শুরু করল রাশিয়া (Russia-Ukraine War)। কিয়েভসহ ইউক্রেনের শহরগুলিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণে এ পর্যন্ত মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, সকাল থেকে প্রায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ বাহিনী।
টেলিগ্রামে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি বলেছেন, ওরা আমাদের ধ্বংস করতে চাইছে। পৃথিবীর মানচিত্র থেকে আমাদের একেবারে মুছে দিতে চাইছে। তিনি জানিয়েছেন, রাজধানী কিয়েভ, ডিনিপ্রো এবং জাপোরিৎঝিয়ায় লাগাতর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ চালাচ্ছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: অতীতকে মর্যাদা দিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মিউজিয়াম বানিয়েছেন জর্ডনের আখরাস
এদিকে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই হানাদারির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, নিরীহ দেশবাসীকে এভাবে নৃশংস খুনের বদলা নেবে তারা। ফেসবুক পেজে লিখেছে, এই যন্ত্রণা ও মৃত্যুর শাস্তি পেতেই হবে শত্রুদের। আমরাও বদলা নিয়ে ছাড়ব। জেলেনস্কি রাশিয়াকে আক্রমণ করে বলেছেন, সোমবার কাজের দিন বলেই এদিনটাকে তারা হামলার জন্য বেছে নিয়েছে। যাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়।
যদিও ইউক্রেন বাহিনী রাশিয়ার ৪১টি ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে নষ্ট করে দিয়েছে বলে দাবি করেছে। এর আগে ক্রিমিয়া সেতু ধ্বংসের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে অভিযোগ তুলেছিলেন। এদিন রুশ হানার পর ইউক্রেনে বিদেশমন্ত্রী পুতিনকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে বলেন, পুতিন এক সন্ত্রাসবাদী, যিনি ক্ষেপণাস্ত্রের ভাষা ছাড়া কথা বলতে জানেন না।
রুশ হানার পরপরই ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণু শক্তিকেন্দ্র জাপোরিৎঝিয়ায় উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য গ্রিডের সংযোগ চালু করে দেওয়া হয়। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্মিগাল জানিয়েছেন, রুশ হানায় রাজধানী কিয়েভ ও অন্যান্য শহরের ১১টি অফিসবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ৮টি অঞ্চলে এদিন হানাদারি চালায় রাশিয়া। বেশ কিছু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ, জল ও খাদ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে।