কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাস্তা দিয়ে গাড়িটা যাচ্ছিল। কয়েক সেকেন্ডের দূরত্ব। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে (Russia-Ukraine Conflict) গেল বাড়িটা। গোটা এলাকা যেন হরপ্পা মহেঞ্জোদারোর ধ্বংসস্তুপ (Russia Ukraine War)। স্তূপের ইট সরিয়ে উঁকি দিচ্ছে কোথাও একটু খানি আঙুল, কোথাও বিচ্ছিন্ন দেহটা।
বহুতল থেকে চাংদোলা করে বের করা হচ্ছে ক্ষতবিক্ষত মানুষগুলোকে (Ukraine)। রক্তমাখা মুখটা জলের জন্য আঁকুপাঁকু করছে।
না এটা কোনও বলিউড সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। এটাই ক্ষত-বিক্ষত ইউক্রেনের (Russia Ukraine War) ছবি। গত তিন দিন ধরে রাশিয়ার হামলায় ঘুম উড়েছে ইউক্রেনের (Present Condition of Ukraine)। রাত হচ্ছে বিস্ফোরণের ঝলকানিতে। দিন বোঝাচ্ছে মিসাইলের বার্তা (Russia strikes Ukraine)।
একের পর এক গুঁড়িয়ে গিয়েছে সেনা ছাউনি। প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ এর বেশি ইউক্রেন সেনা (Ukrainian military)। ভেঙেছে বড় বড় অট্টালিকা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সাজানো গোছানো শহরটা। ইউক্রেনের একাধিক জনবহুল শহরে আজ মানুষের পদচারণ নেই। কেউ গৃহবন্দি, কারও বাড়ি গুঁড়িয়ে (Russia attack Ukraine) গিয়েছে। ঠিক যেমনটা লক্ষ্য করা গিয়েছে এতদিন সিরিয়া-লেবাননে।
ধারাবাহিক মার্কিন হামলায় বিশ্ব দেখেছে গুঁড়িয়ে যাওয়া আফগানিস্থানকে। আজ রাশিয়া প্রত্যক্ষ করাচ্ছে এমনই বিপর্যস্ত ইউক্রেন। হাজার হাজার ভারতীয়র রুটিরুজি এই দেশটা থেকেই আসে। সেখানে বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। গত কয়েকদিনে দেশে ফেরার আকুতি দেখা গিয়েছে বিমানবন্দরগুলিতে। উপচে পড়েছে ভিড়। মনের মানুষের হাত ধরে একটিবার স্পর্শ পেতে চেয়েছেন অপরজন। মুহূর্তেই তাল কেটেছে মিসাইলের রক্তাক্ত আওয়াজে।
If we do not end the war, the war will end us 💔#StopWar #IStandWithUkraine #Ukraine #Kiev pic.twitter.com/cbSGAereXO
— Ari🖤 (@callthefbiari) February 25, 2022
একাধিক পরিচিত জায়গায় গাছপালা ঝলসে গিয়েছে। পশুর বিক্ষিপ্ত দেহ পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। স্কুল বন্ধ, কলেজ বন্ধ। বন্ধ বাড়ি থেকে বেরনোও।পানীয় জল নেই।বিদ্যুৎ নেই।খাবার নেই।শুধু প্রাণ বাঁচাতে কেউ ঘরের বাঙ্কে, কেউ বা খাটের নীচে। কেউ কেউ আবার আশ্রয় নিয়েছেন বম্ব শেল্টারে। সর্বত্রই যেন ভাঙা-ভাঙা-ভাঙা। কোথাও বাড়ি, কোথাও বহুতল। কোথাও বোমারু বিমানের ছোঁওয়ায় ফেটে গিয়েছে মসৃণ রাস্তা।
ধ্বংস স্তূপে চাপা পড়েছেন অনেক মানুষ। ইউক্রেনের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা এবং সেনা আধিকারিকরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। ভেঙে পড়া স্তূপগুলো যেন বলছে, যুদ্ধ চাইনা…