ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মোকার (Cyclone Mocha) তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা (Rohingya people)। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মায়ানমারে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশে যে কয়েকটা ঘূর্ণিঝড় এসে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ঝড়। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় ১৩০০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উখিয়ার বালুখালি ১০ নম্বর শিবিরের। ২৩২টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ শুরু হয়েছে এই সুপার সাইক্লোনের ল্যান্ডফল হয়। ল্যান্ডফলের সময় মোকার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। মায়ানমারের (Myanmar) সামরিক তথ্য দফতরের তরফে জানিয়েছে, ঝড়ে সিতওয়া, কিয়াউকপিউ ও গওয়া শহরে বাড়িঘর, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, মোবাইল ফোন টাওয়ার, নৌকা ও ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের (Bangladesh) আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দুপুর আড়াইটের সময় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিমি। ঝড়ের ঝাপটায় বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। মোকার আঘাতে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বনে বাংলাদেশের কক্সবাজার, মহেশখালি এবং সেন্ট মার্টিন বন্দরে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।
বিশেষত, কক্সবাজারে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। বাংলাদেশেও প্রবল জোরে হাওয়া বইছে। প্রবল বৃষ্টিও শুরু হয়েছে একাধিক জায়গায়। কক্সবাজারে রাস্তাঘাট জনশূন্য। মোকার জেরে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপের মাঝরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়ার অন্তত ৩৪০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে বলে বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে।
মোকর দাপটে বাংলায় তাপমাত্রার পারদ ততই বাড়বে, সোমবার থেকেই কলকাতা (Kolkata) সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে (Bengal) গরম বাড়বে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। মঙ্গলবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ (Heat Wave) সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।