নয়াদিল্লি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসার আগামী দিনগুলোয় বিশ্ববাসীর জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে, না দুর্ভোগ বাড়াবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে রয়েছে নানা জল্পনা। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) দ্রুত আরও উন্নত হচ্ছে। ইতিমধ্যে মানুষ যা গবেষণা করছে তার থেকে অনেক বেশি ভবিষ্যৎবানী করতে পারছে এ আই। বিশেষজ্ঞ মহলের (Expert Circles) মতে, এ আই আমদের যে কোনও বিষয়ে জানবার ও শেখার কাজকে আরও সহজ করে তুলবে। তবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী ধরণের বিপদ ডেকে আনতে পারে সে বিষয়ে বিশ্ব এখনও সতর্ক নয়।
বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে শুরু হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর প্রয়োগ। তবে ভবিষ্যতের জন্য এআইয়ের প্রভাব মারাত্মক হতে পারে বলে ক’দিন আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জিওফ্রে হিন্টন। যিনি কৃত্রিম মেধার ‘গডফাদার’ নামেই পরিচিত। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের থেকেও বিপজ্জনক হতে পারে কৃত্রিম মেধা।’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি সম্প্রতি অ্যালফাবেট সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেছেন। হিন্টন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে লঘু করে দেখছি না। আমি এটাও বলতে চাই না যে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। এটাও বিপজ্জনক। তবে এই বিপদ থেকে বেরোনোর রাস্তা রয়েছে।’ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আপনারা বুঝবেন কী করা উচিত, কোনটা অনুচিত। তা হলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী করা উচিত, তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: RBI Gold Reserved | প্রায় ৮০০ টন সোনা মজুত আরবিআই-র কাছে, কী বলছে পরিসংখ্যান, জানুন
ঊল্লেখ, ডিপ মাইন্ড এআই প্রোগ্রামের এক প্রকল্পে দুটি রোবটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। রোবট দুটি তাদের গেম জিততে মরিয়া হয়ে ওঠে। এ ফলাফল থেকে কিছুটা হলেও ধারণা করা যেতে পারে, পরবর্তীতে রোবট তৈরিতে আগেই চিন্তা করতে হবে। এমনটাও হতে পারে নিজের বানানো রোবট নিজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াল। গুগল টিম যত বেশি জটিলভাবে ডিপ মাইন্ডকে তৈরি করছে ততই এটার মধ্যে লোভ ও আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখতে পেয়েছে। গবেষকেরা আশঙ্কা করছেন, যত বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রোবটগুলোর মধ্যে সংযোজন করা হবে এটা ততই পরিবেশ থেকে শিখবে এবং আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে।
এ প্রসঙ্গে গুগলের সিও সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai) বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি আমাকে রাতে জাগিয়ে রাখে।