ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরিস জনসনের (Boris Johnson) সরে যাওয়ার পর প্রথম দুই ধাপের নির্বাচনে এগিয়েছিলেন ঋষি সুনক(Rishi Sunak)। আর এবার মঙ্গলবারের ভোটে ১১৮ জন আইনসভার সদস্য তাঁকে ভোট দিয়েছেন। সেই দৌড়ে ফের আরও ধাপ এগিয়ে গেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রাক্তন ব্রিটিশ এই মন্ত্রী। কিন্তু লড়াই এবার ধীরে ধীরে ঋষি সুনকের জন্য কঠিন হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষিই বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরি হবেন কি না তা এখনও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।
শেষ দফার ভোটে চারজন প্রতিপক্ষ থাকলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সঙ্গে ঋষি সুনকের ভোটের ফারাক ক্রমশই কমছে, এরকম চলতে থাকলে কিন্তু শেষ মুহূর্তে ছবি বদলে যেতে পারে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবার লড়াইয়ে ঋষি সুনকের পরেই রয়েছেন পেনি মরডুয়ান্ট। শেষ দফার ভোটে তিনি পেয়েছেন ৮২ টি ভোট। অন্যদিকে বৃটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস্টও এই মুহূর্তে ভালো অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী বুধবার পরবর্তী দফার ভোট ব্রিটেনে। আর সেদিনই বোঝা যাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে শেষ দুই প্রতিযোগী কে হতে চলেছে। এর মাঝেই একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে কনডারভেটিভ পার্টির অন্দরে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়়ে থাকা প্রতিপক্ষরা নিজেদের হয়ে প্রচার করতে গিয়ে পরষ্পরকে দোষারোপ করা শুরু করেছেন। কনজারভেটিভ পার্টি বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। তাঁরা মনে করছেন এই ধরনের ঘটনা দেশের জনতার সামনে পার্টির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে।
আপাতত যতদিন না নতুন প্রধানমন্ত্রী ঠিক হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দায়িত্বে থাকছেন বরিস জনসন । আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর প্রধানমন্ত্রী থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কার্যত এই পরিস্থিতিতে ঋষি সুনকের লড়াই যে আরো কঠিন হতে চলেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত আন্তর্জাতিক মহল।