নয়াদিল্লি: রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে হিংসাকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের বস্তা বস্তা অভিযোগের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বাংলায় ভোটকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে, এই নালিশ সত্ত্বেও একটি ভোট পরবর্তী সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, গ্রামবাংলা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলেই থাকছে। রাজ্যের শাসকদল ৬০৬-৭৬৬টি পঞ্চায়েত আসন পেতে পারে। অন্যদিকে, ভোট ঘোষণার আগে থেকে যে বিজেপি পঞ্চায়েত দখলের স্বপ্নের ফানুস উড়িয়ে এসেছিল তারা শাসকদলের থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। তারা পেতে পারে ১৩০ থেকে ২২৮টি পঞ্চায়েত।
পাশাপাশি কংগ্রেস-সিপিএমের অবস্থান সমীক্ষায় প্রায় লিলিপুটের আকার ধারণ করেছে। জোট পেতে পারে ৪১-৯২টি পঞ্চায়েত। এবিপি-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, তৃণমূল সবচেয়ে বেশি আসনে জিততে চলেছে হুগলি জেলা পরিষদে। বিজেপির সেরা সাফল্য আসতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ থেকে। কংগ্রেস-বাম জোট কোনও জেলা পরিষদেই দাঁত ফোটাতে পারবে না বলে সমীক্ষায় প্রকাশ।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh | হাজার হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথে দেখা গেল না, ক্ষুব্ধ বিজেপির দিলীপ
প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ বিচারে তৃণমূল একাই পেতে পারে ৪৫ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ২৭ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস-বাম জোটকে মেরেকেটে ১৮ শতাংশ ভাগ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। নির্দল এবং অন্যান্য ছোট দলের ভাগ্যে জুটতে চলেছে ১০ শতাংশ ভোট। তবে ভোট এখনও শেষ হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ফের কিছু বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিতে পারে। সুতরাং, এই সংখ্যারও হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।