কলকাতা: হুমকি চিঠি পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং যুগ্ম রেজিস্ট্রার সঞ্জয় গোপাল সরকার। ওই চিঠিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। চিঠিতেই হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে সৌরভের কিছু হলে গুলি করে দেওয়া হবে। এমনকি রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজও দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই হুমকির চিঠি পান স্নেহমঞ্জু এবং সঞ্জয়। দু’টি পোস্টকার্ডে লেখা চিঠি দু’টির শেষে নাম রয়েছে অধ্যাপক রানা রায়ের। চিঠি দু’টিতে প্রথমেই দু’জনকে গালিগালাজ করা হয়েছে। তার পর হুমকি দেওয়া হয়েছে, পুলিশ মিথ্যে মামলায় সৌরভকে ফাঁসাচ্ছে। সৌরভ চৌধুরীর গায়ে একটা আঁচড় পড়লে সব দায় তোমাদের। ওর কোনও ক্ষতি হলে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেব। এর পরেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ ফিরহাদ, ইস্তফার সিদ্ধান্ত মেয়র পারিষদ তারক সিংয়ের
অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনের কাছেই তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই নামে কোনও অধ্যাপক রয়েছেন কি না। স্নেহমঞ্জু এবং সঞ্জয় দু’জনেই জানান, এই নামে কোনও অধ্যাপক নেই।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উঠে এসেছে ব়্যাগিংয়ের তত্ত্বে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ১৩ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হস্টেলেও নিরাপত্তার ব়্যাগিং রুখতে চলেছে সিসিটিভও। বিশ্ববিদ্যালয়ে নেশা ও মাদকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলিতে নারকটিক্স ডিটেক্টর ও অ্যালকোহল ডিটেক্টর বসানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্থাযী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ব়্যাগিং রুখতে একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ‘স্টেক হোল্ডার’দের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে রাতে এক জন আধিকারিক নিয়োগ করার প্রস্তাব ওই বৈঠকেই দিয়েছেন অধ্যাপকরা। এর মধ্যেই হুমকির চিঠি পেলেন রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম রেজিস্ট্রার।