জলপাইগুড়ি: ব্যালট বাক্স লুট, ভাঙচুর এবং জল দিয়ে দেওয়া ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ১৪টি বুথে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশে সোমবার প্রত্যেক বুথে পুনর্নির্বাচন (Re Polling) শুরু হল। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি থাকায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ভোটারটা দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোটদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বুথের নিরাপত্তায় ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ভোটার স্বপন রায় বলেন, “আবার ভোট দিচ্ছি। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হোক।” আরও এক ভোটার কেশব তন্ত বলেন, “বৃষ্টি হচ্ছে বৃষ্টির মধ্যে ভোট দিতে এসেছি। ভোট দিয়ে কাজে যেতে হবে।”
কমিশনের ঘোষণা মতো শনিবার রাজ্যে হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ওইদিন ভোট চলাকালীন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিম পাড়া বুথে ভোটের দিন ব্যালট বাক্স লুটের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ব্যালট বাক্স পাওয়া যায় জঙ্গলে। এরপরই প্রশাসন ওই বুথে নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেয়। তাতে বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদল।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিকে দিকে নানা জায়গায় অশান্তির ছবি সামনে এসেছে এ বাংলায়। কোথাও দেদার ছাপ্পা, কোথাও ব্যালট বাক্সে ঢেলে দেওয়া হয়েছে জল, কোথাও আবার ব্যালট বাক্স ভাসতে দেখা গেছে পুকুরে। ব্যালট জ্বালিয়ে দেওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। কোথাও আবার ব্যালট বাক্স নিয়ে ছুটে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। বুথের মধ্যে বোমাবাজির ঘটনাও সামনে এসেছে। ভোট দিতে এসে ভোটারের মৃত্যুও হয়েছে। এর জেরে শনিবার অর্থাৎ ৮ জুলাই, অনেক বুথেই ভোটগ্রহণ হয়নি। এরপরই ওই সমস্ত বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটেই সোমবার অর্থাৎ ১০ জুলাই কিছু বুথে পুনর্নির্বাচনের কথা ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মোট ৬৯৬টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রতিটি বুথেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।