কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জা দিয়েছেন। বিজেপি এমপি রবিশঙ্কর প্রসাদ বুধবার কলকাতায় এসে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন। এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় তথ্যানুসন্ধানী দল শহরে এসে পৌঁছায়। সেই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাব। আমি বিহার থেকে এসেছি। যেখানে এ ধরনের ঘটনা (ভোট হিংসা) অতীতে ঘটত। আমার রাজ্যেও এখন শান্তিতে ভোট হয়। আমি শুনেছি ভোটগণনার দিনও একটা খুন হয়েছে। আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জিত করেছেন।
বাংলায় যে হিংসা ছড়িয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য জেপি নাড্ডা আমাকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি দল পাঠিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে মমতাকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, মমতাজিকে আমি আজ মনে করিয়ে দিতে চাই বাংলার রাজনীতিতে তিনিই পরিবর্তন এনেছিলেন। বাম জমানার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু বামেদের থেকেও নোংরা রাজনীতিতে আপনাকে নামিয়ে আনল কী করে? কেন আপনার রাজনীতি এভাবে সম্পূর্ণ নিষ্ঠুর হয়ে গেল? আপনি তাহলে কী করলেন? ভোটের প্রতি মুহূর্তে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এমনকী সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বাংলার ভোট হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Result 2023 | Malda | ভোটের ফলের পরেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মালদহে বলি এক
রবিশঙ্কর প্রসাদ এও বলেন যে, কেন তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ দেখাতে পারছেন না। আপনি লজ্জিত যে, আপনার জয়ের পিছনে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। আমরা এরপর বসিরহাটের দিকে রওনা দেব বলে জানিয়ে কেন্দ্রীয় দলের প্রধান বলেন, আগামিকাল যাব দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গেও। সব জায়গাতেই ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলব। আমরা আশা করি যে, আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হবে।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীরও সমালোচনা করতে ছাড়েননি রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, রাহুল আপনার দলের কর্মীরা মার খাচ্ছে। আপনি কেন মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন? গণতন্ত্রকে দুর্বল করার লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত হয়ে রইল বাংলা। আর এতেই প্রমাণ হয় যে, ওরা স্বার্থপর এবং ক্ষমতার লোভে যে কোনও কাজ এরা করতে পারে। তাই সব দেখেও ওরা নীরব। সিপিএমকেও একই দোষে অভিযুক্ত করেন বিজেপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, বাংলার মানুষের সঙ্গে রয়েছে, থাকবে বিজেপি। গণতন্ত্রের উপর এই আক্রমণের জবাব দেবে বিজেপি। উল্লেখ্য, এই তথ্যানুসন্ধান দলে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বাগপতের সাংসদ সত্যপাল সিং, কোরাহরার সাংসদ রেখা বর্মা, অসমের শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায় এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যসভা সদস্য ব্রিজলাল।