রামপুরহাট: আতঙ্কে চুপ বীরভূমের রামপুরহাট এক ব্লকের বগটুই গ্রামের বাসিন্দারা৷ মৃত ভাদু শেখের পরিবার সহ আগুনে পুড়ে মৃতদের আত্মীয়রা গ্রাম ছেড়েছেন৷ ‘শান্তি ও সুষ্ঠুভাবে’ জীবনযাপনের জন্য৷ স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত নিখোঁজ বালককে খুঁজে পাওয়া গেছে৷ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। আজ বুধবার সেখানে যাচ্ছে বিজেপি-র পরিষদীয় দল। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তাদের কলকাতা থেকে রামপুরহাটের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। বিজেপি-র পাশাপাশি বামেরাও ওই গ্রামে যাচ্ছে। সকাল ১০টা নাগাদ বগটুই গ্রামে যাওয়ার কথা বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম-সহ বাম নেতাদের।
ভাদু শেখ খুনের পরেই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন রামপুরহাট এক ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেন। তাঁর দাবি, রাত বাড়তেই গ্রামে অশান্তি শুরু হয়। মৃত্যু হয় দশ জনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ ব্লক সভাপতি আনারুল নির্দেশেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামে। ভাদু খুনের আসামিরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যালীলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। পাল্টা ব্লক সভাপতির আরও দাবি, তৃণমূলকে বদনাম করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে পুলিসের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল। এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলেই ভাদু শেখ ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। রাতে আট জনকে কবর দেওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের না জানিয়েই আটটি মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রাতেই সিআইডি-সিট আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷ সিআইডির আধিকারিকরা প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থল থেকে নানারকম নমুনা সংগ্রহ করেন৷ রাতে বিজেপির তরফে পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়া হয়েছে৷ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক আইপিএস ওই কমিটিতে আছেন৷ তাঁদের আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা রয়েছে৷ ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে৷ কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক প্রতিবাদ সভা, মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে৷