বগটুই: রামপুরহাট কাণ্ডে (Rampurhat Violence) পুলিস আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। অগ্নিকাণ্ডের রাতে পুলিস প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিল কি না, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। সিট তদন্ত শুরুর পর পরই রামপুরহাট থানার আইসিকে সাসপেন্ড এবং এসডিপিও-কে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য। তারপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই (CBI)। সোমবার রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদকে জেরা করেছিল সিবিআই। আজ, মঙ্গলবার রামপুরহাট থানার সাসপেন্ডেড আইসি ত্রিদীপ প্রামানিককে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল বাইরে রেখেই সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে ঢুকেছিলেন ত্রিদীপ প্রামানিক। তাঁর গাড়ির চালকের কাছে মোবাইল রেখে সিবিআইয়ের দফতরে ঢোকেন তিনি। কিছুক্ষণ পরেই সেই মোবাইল চেয়ে পাঠান তদন্তকারী আদিকারিকেরা। সেই গাড়ির চালক সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে গিয়ে মোবাইল পৌঁছে দিয়ে আসে। আগেই আইসি কল রেকর্ড সংগ্রহ করেছিল সিবিআই।
সূত্রের খবর, ওই রাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা তাঁদের কাছে জানতে চাইবেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কখন পুলিস গ্রামে যায়, সেইসময় গ্রামের কী পরিস্থিতি ছিল এবং পুলিসের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল, এই সমস্ত প্রশ্ন করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: Watch Viral Video: ভাগ্য একেই বলে! ট্রেন থেকেও পড়েও কী ভাবে বেঁচে ফিরলেন মহিলা, দেখুন…
সোমবার রাতে বীরভূমের বগটুই মোড়ে খুন হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখ৷ তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বগটুই গ্রামে তাণ্ডব চালায় একদল যুবক৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাড়িতে৷ সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৭ জনের৷ নিহতদের অধিকাংশ মহিলা ও শিশু৷ মঙ্গলবার সকাল থেকেই চরমে ওঠে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে একসুরে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা৷ ঘটনার নিন্দায় বুধবার মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বগটুইয়ের ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেন৷ পাশাপাশি তদন্তে রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন৷ ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগে সরব তৃণমূল৷ প্রথমে সিট ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই।