রামপুরহাট: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবারই বগটুই হত্যালীলার (Rampurhat Violence ) তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই (CBI)। শনিবার সকাল সকালই তদন্তে নেমে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বগটুই ছাড়ল সিবিআই
বগটুই গ্রাম থেকে বেরিয়ে গেলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। দু’ঘণ্টা ধরে তদন্ত প্রক্রিয়া চালান তাঁরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। সোনা শেখ, মিহিলাল শেখ, বানিরুল শেখ, ফটিক শেখ, নেকা শেখের বাড়িতে যায় সিবিআই। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেন। থ্রিডি সিটি স্ক্যানার মেশিন দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানার চেষ্টা চালান তদন্তকারীরা।
থ্রিডি স্ক্যানার
১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সোনা-মিহিলালের বাড়িতে সিবিআই
প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সোনা শেখ, মিহিলাল শেখের বাড়িতে ছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। যদিও বাড়িতে ছিলেন না মিহিলাল। সাঁইথিয়ার বাতাসপুর গ্রামে রয়েছেন তিনি। মিহিলালের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফটিক শেখ, নেকা শেখের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা।
বগটুইয়ে সিবিআই
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত ২২ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানাল সিবিআই। রামপুরহাট আদালতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কম্পাস-ফিতে নিয়ে মাপজোক
শুধুমাত্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভিডিয়োগ্রাফিই নয়। কম্পাস-ফিতে নিয়ে অকুস্থলে রীতিমতো মাপজোক চালাচ্ছেন সিবিআইয়ের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক টিম। যেখান থেকে ৭ জনের মৃতদের উদ্ধার হয়েছে, তার লাগোয়া বিভিন্ন জায়গায় কম্পাস-ফিতে নিয়ে মাপজোক চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কম্পাস-ফিতে নিয়ে মাপজোক
মিহিলাল শেখের বাড়িতে বাড়িতে সিবিআই
বগটুই গ্রামে সোনা শেখের বাড়ির পর এই নারকীয় হত্যালীলার মূল সাক্ষী, নিহতদের আত্মীয় মিহিলাল শেখের বাড়িতেও যায় সিবিআই। ১ ঘণ্টারও বেশি সময় বগটুইয়ে রয়েছে সিবিআই। ফরেন্সিক ও ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞরাও সিবিআইয়ের সঙ্গে রয়েছেন। স্থানীয় পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কথা বলছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা।
সিবিআইয়ের এফআইআর
বগটুই হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের এফআইআরে ২১ জনের নাম রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারা সহ বেশ কয়েকটি ধারার উল্লেখ এফআইআরে।
West Bengal, Birbhum violence case | CBI names 21 accused under Section 147, 148, 149 and other Sections in FIR on suspected offence of armed rioting
— ANI (@ANI) March 26, 2022
বানিরুল শেখের বাড়িতে সিবিআই
সোনা শেখের পর বানিরুল শেখের বাড়িতে সিবিআই। সোমবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে বানিরুল শেখের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বানিরুল শেখের বাড়িতে সিবিআই
রামপুরহাট মহকুমা আদালতে সিবিআই
রামপুরহাট মহকুমা আদালতে পৌঁছল সিবিআইয়ের আরেকটি দল। মূল দলটি ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্ব বগটুই গ্রামে তদন্ত চালাচ্ছেন।
ভিডিয়োগ্রাফি
সোনা শেখের বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ থাকেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। বাড়ির ভিডিয়োগ্রাফি করেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। শুধু সোনার বাড়িই নয়, গোটা এলাকার ভিডিয়োগ্রাফি করছে সিবিআই। এই সমস্ত ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখবেন বিশেষজ্ঞরা।
সোনা শেখের বাড়িতে ভিডিয়োগ্রাফি করছে সিবিআই
সোনা শেখের বাড়িতে সিবিআই
বগটুই গ্রামে ঢুকেই সিবিআইয়ের আধিকারিকরা সোনা শেখের বাড়িতে। বাড়ির পোড়া অংশ খুঁটিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। ব্যবহার করা হয় থ্রিডি স্ক্যানার। সিবিআইয়ের আগে সোনা শেখের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক টিম। এর আগে শুক্রবার সোনা শেখের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। সোনার বাড়ি থেকেই মঙ্গলবার সকালে ৭টি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিস।
সোনা শেখের বাড়িতে সিবিআই
বগটুইয়ে সিবিআই
সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বগটুই পৌঁছয় সিবিআই। সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্ব প্রায় ৩০ জনের দল বগটুইইয়ে যায়। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) আধিকারিকরাও সিবিআইয়ের সঙ্গে ছিলেন।
রামপুরহাট থানায় সিবিআই
সকাল ১০টা ৫০ নাগাদ রামপুরহাট থানায় পৌঁছয় সিবিআই। সেখানে বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) হাত থেকে মামলার নথি নিজেদের হাতে নেয় সিবিআই। প্রায় ৪০ মিনিট রামপুরহাট থানায় সিটের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। মামলার সমস্ত নথি ব্রিফ কেসে নিয়ে থানা থেকে বেরোন তাঁরা।
মামলার সমস্ত নথি নিয়ে রামপুরহাট থানা থেকে বেরোচ্ছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা