নয়াদিল্লি: প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও মণিপুর ইস্যুতে সরকার-বিরোধী তুমুল হট্টগোলে বন্ধ হয়ে গেল অধিবেশন। শুক্রবার সংসদ বসার শুরু থেকেই হট্টগোলের জেরে দুপুর পর্যন্ত সভা মুলতুবি ঘোষণা করা হয়। তারপর ফের সভার কাজ শুরু হলেও কয়েক মিনিটের মধ্যে গন্ডগোলে দিনের মতো সভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেও একইভাবে সভা মুলতুবি হয়ে যায়। ফের সভা বসবে আগামী সোমবার।
২১ জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে শুরুতেই মণিপুর ইস্যুতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপের মুখে কেন্দ্র। লক্ষ লক্ষ কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মণিপুরের মানুষের পাশে আছে বাংলা। আমরা তাদের দুর্দশার সমব্যথী। এখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম না করে বলেন, বেটি বাঁচাও করছে। বেটি বাঁচাও না বেটি জ্বালাও। মণিপুর জ্বলছে। নারী আমাদের শক্তি। আমাদের দুর্গা। ভাষণের মধ্য়েই মণিপুরে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন মমতা। এদিনও তিনি ২৬টি দল নিয়ে গঠিত বিরোধী জোটের প্রতিনিধিদের নিয়ে পার্বত্য রাজ্যে যাওয়ার প্রস্তাব রাখেন।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi-SC | মোদি পদবি বিতর্ক মামলায় রাহুলের আপাতত রেহাই মিলল না সুপ্রিম কোর্টে
উল্লেখ্য, প্রত্যাশামতোই মণিপুর ইস্যু নিয়ে তুমুল হইহল্লার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার শুরু হয় সংসদের বাদল অধিবেশন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অধিবেশন শুরুর পরই প্রয়াত সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লোকসভা দুপুর ২টো পর্যন্ত এবং রাজ্যসভা দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায়। রাজ্যসভা ফের বসলেও মণিপুর নিয়ে সরকারপক্ষ স্বল্প আলোচনার অনুমতি দিলে বিরোধীরা রে রে করে ওঠে। তারপরই সংসদের উচ্চকক্ষ দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। তারপর ফের সভা বসলে বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে দিনের মতো সভা ভণ্ডুল হয়ে যায়।
সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, দুই কক্ষেই মণিপুর নিয়ে আলোচনার কথা আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলাম। মণিপুর খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আলোচনার উপর জবাব দেবেন। স্পিকার আলোচনার দিন স্থির করবেন। কিন্তু, বিরোধীদের দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জবাব দিতে হবে। এবং সংক্ষিপ্ত নয়, পূর্ণাঙ্গ আলোচনার সুযোগ দিতে হবে। তা নিয়েই হট্টগোল বাধে রাজ্যসভা ও লোকসভায়।
তৃণমূল কংগ্রেস এমপি ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, মণিপুর নিয়ে ২৬৭ বিধিতে আলোচনা করতে হবে। এই বিধিতে চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে উচ্চকক্ষের কোনও সদস্য পূর্বনির্ধারিত কার্যসূচিকে বাতিল করার বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হন। মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জবাব দাবি করেন ডেরেক।