ইম্ফল: দুদিনের মণিপুর সফরের আজ, শেষদিনে সকালে রাহুল গান্ধী বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাংয়ের দুটি ত্রাণ শিবির ঘুরে দেখলেন। সেখানে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস নেতা। সকাল সাড়ে ৯টার সময় চপারে করে মৈরাংয়ে এসে পৌঁছন তিনি। ওই দুটি শিবির প্রায় হাজারখানেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং, কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল প্রমুখ। উল্লেখ্য মৈরাং হল ইতিহাস প্রসিদ্ধ জায়গা। এখানেই নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ ১৯৪৪ সালে তেরঙা উত্তোলন করেছিল। ত্রাণ শিবিরে শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেই ফের চপারে ইম্ফলে আসেন রাহুল। সেখানে ইম্ফল হোটেলে দুপুরের পর সুশীল সমাজ, ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল, ১০টি সমমনস্ক রাজনৈতিক দল এবং মহিলা নেত্রীদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন।
মণিপুরে (Manipur) শরণার্থী শিবিরে গিয়ে শিশুদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বৃহস্পতিবার তিনি চূড়াচাঁদপুরে (Churachandpur) একটি শরণার্থী শিবিরে যান। হেলিকপ্টারে তিনি চূড়াচাঁদপুরে যান। মাঝ রাস্তায় তাঁর কনভয় আটকেছিল পুলিশ। রাহুল গান্ধীকে বিষ্ণুপুরে (Bishnupur) আটকানো হয়। ইম্ফল (Imphal) থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আটকানো হয়। ওই কনভয়ে আক্রমণ হতে পারে ভেবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হেলিকপ্টার পরিষেবা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Manipur Violence | ফের উত্তপ্ত মণিপুর, ১ পুলিশ সহ তিন জনের মৃত্যু
রাহুল গান্ধী ট্যুইটে (Tweet) বলেন, আমি মণিপুরের সমস্ত ভাই ও বোনেদের কথা শুনতে এসেছি। সমস্ত কমিউনিটির মানুষ এখানে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়েছেন। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক রাজ্য সরকার আমাকে আটকেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। একটি শরণার্থী শিবিরে গিয়ে সেখানকার বসবাসকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজ্যে ৩০০ শরণার্থী শিবিরে ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। গত মে মাসে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে শরণার্থী শিবির খোলা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় জনজাতিদের একটি মিছিল শুরু হয়েছিল। মেইতেই-দের তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ মিছিল থেকে অশান্তি ছড়ায়। বিভিন্ন জায়গায় পরবর্তীতে হিংসার ঘটনায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।