নয়াদিল্লি: ‘ডিসকোয়ালিফায়েড এমপি’ (Disqualified MP) রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ফের আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এবং গৌতম আদানির (Gautam Adani) সম্পর্ক নিয়ে। এবারেও তাঁর নিশানার তিরে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদবি। মোদি ও আদানির পদবি জুড়ে ‘মোদানি’ শব্দবন্ধ তৈরি করে রাহুল বলতে চেয়েছেন তাঁদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। মোদি বিরোধিতার সুর চড়িয়ে রাহুল এদিন প্রশ্ন তোলেন, চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্তদের টাকা নিয়ে কেন ছিনিমিনি খেলছে এই সরকার। জনতার শ্রমার্জিত অর্থ কেন আদানির কোম্পানিতে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে।
LIC की पूंजी, अडानी को!
SBI की पूंजी, अडानी को!
EPFO की पूंजी भी, अडानी को!‘मोडानी’ के खुलासे के बाद भी, जनता के रिटायरमेंट का पैसा अडानी की कंपनियों में निवेश क्यों किया जा रहा है?
प्रधानमंत्री जी, न जांच, न जवाब! आख़िर इतना डर क्यों?
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 27, 2023
এদিন রাহুল হিন্দি ভাষায় তাঁর টুইট বার্তায় লিখেছেন, এলআইসির পুঁজি, আদানিকে। এসবিআইয়ের পুঁজি, আদানিকে। ইপিএফও-র পুঁজিও আদানিকে। মোদানির রহস্য প্রকাশ্যে আসার পরেও জনতার রিটায়ারমেন্টের পয়সা আদানির কোম্পানিতে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে কেন? প্রধানমন্ত্রীজি, কোনও তদন্ত হল না, কোনও জবাব দিলেন না! এত ভয় কীসের?
এর আগে এদিন সকালেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক টুইটে একই ভাষায় লেখেন, ‘মোদানি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।’ হিন্দুত্বের ঠেকা নেওয়া বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বখ্যাত তিরুপতি মন্দির কমিটিকে (TTD) ৩ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। একটি সংবাদপত্রের খবরকে উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) এই ভাষাতেই শ্লেষ হানেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে এক টুইট (Tweet) বার্তায় তিনি লিখেছেন, অতি পবিত্র তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD)। যেখানে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। সেই মন্দিরকেই নোটিস পাঠিয়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করেছে মোদি সরকার। অথচ আদানি (Gautam Adani) করমুক্ত সুবিধা ভোগ করে চলেছে। শেষে তিনি লিখেছেন, ‘মোদানি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।’
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) লোকসভা সদস্যপদ (Member of Lok Sabha) খারিজ হওয়ার প্রতিবাদে রবিবার দেশজুড়ে দিনভর সত্যাগ্রহের (Satyagraha) কর্মসূচি নেয় কংগ্রেস। রাজধানীতে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi Vadra) সেই সত্যাগ্রহের নেতৃত্ব দেন। রাজঘাটে (Raj Ghat) তাঁদের প্রতিবাদ আন্দোলনের আর্জি পুলিশ আইনশৃঙ্খলা ও যান চলাচলের অজুহাত দেখিয়ে নাকচ করে দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস কর্মীরা পথে বসে দলের নেতার বিরুদ্ধে ‘চক্রান্তের’ প্রতিবাদ ধরনা দেন। এ কারণে রাজঘাট চত্বরে ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়।