নয়াদিল্লি: মণিপুরে রাহুল গান্ধীর পথ আটকাল বিজেপি সরকারের পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে নেমেই সোজা হিংসা উপদ্রুত চূড়াচাঁদপুরের দিকে রওনা দেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু, কিছুদূর যাওয়ার পরই পুলিশ তাঁর পথ আটকায়। রাহুল সেখানে গেলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে পুলিশ তাঁকে জানায়। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, পুলিশ কেন কনভয় আটকেছে তা বুঝতে পারছি না। রাহুলকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দুপাশে মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সকলেই খুশি। কিন্তু পুলিশ আমাদের পথ আটকাচ্ছে কেন জানি না।
দুদিনের সফরে মণিপুরে (Manipur) গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শান্তির (Peace) বার্তা নিয়ে তাঁর এই মণিপুর যাত্রা। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে তিনি মণিপুরের বিমানে রওনা দেন। ইম্ফল (Imphal) বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান সেখানকার দলীয় নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ইম্ফল বিমানবন্দর থেকে তিনি চূড়াচাঁদপুর জেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখানে শরণার্থী শিবির তিনি ঘুরে দেখবেন। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী মণিপুরে গেলেন সেটা ভালো কথা। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গিয়েছিলেন কোনও লাভ হয়নি। পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনও পর্যন্ত মণিপুর নিয়ে একটি শব্দও বলেননি। মণিপুরে চীনের হস্তক্ষেপ রয়েছে। সেজন্য পরিস্থিতি এতটা খারাপ।
আরও পড়ুন: Karnataka-Anna Bhagya Scheme | ‘অন্নভাগ্য’ যোজনায় চালের বদলে টাকা দেবে কর্নাটক সরকার
গত তিন মে হিংসা শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও রাজনৈতিক নেতার এটাই প্রথম পরিদর্শন। তিনি বিভিন্ন জনজাতির নাগরিক সমাজের (Civil Society) সঙ্গে কথা বলবেন। ঘর ছাড়াদের সঙ্গে দেখা করবেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি বোমা ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। কাকচিং ও ইম্ফল পশ্চিম জেলা থেকে তা উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। অশান্তির আঁচ রয়েছে। রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী তদারকি করছে। কংগ্রেসের (Congress) সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল (K C Venugopal) বলেন, দুমাস ধরে মণিপুর জ্বলছে। যাতে নাগরিক সমাজের শান্তির জন্য পথে নামে সেই রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদেরকে ভালোবাসার ফোর্স হতে হবে, ঘৃণার নয়।