নয়াদিল্লি: ‘এক দো গোলে মারুঙ্গা, জাদা নেহি।’— ঠিক এই ভাষাতেই বুধবার লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে অংশ নিয়ে ভাষণ শুরু করলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, প্রথমেই আমি আমাকে লোকসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাব। রাহুলের বক্তব্যের শুরুতেই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে হইহল্লা শুরু করে দেয় বিজেপি শিবির। পদে পদে রাহুলের ভাষণে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা চলতে থাকে। এর মধ্যেই রাহুল বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না আদানি নিয়ে আমি কিছু বলব না।
বিজেপি এবং এনডিএ-র শরিকরা রাহুলকে কিছুতেই বলতে দিতে চাইছিলেন না, কারণ তাঁর সামগ্রিক আক্রমণ ছিল কখনও সরাসরি মোদিকে লক্ষ্য করে, কখনও পরোক্ষে। তার জবাবে রাহুল বলেন, কাল থেকে আপনার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন, আর ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন! মণিপুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, কিছুদিন আগে আমি মণিপুর গিয়েছিলাম। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত সেখানে যাওয়ার সময় পাননি। আপনারা মণিপুরের মানুষকে হত্যা করে দেশকে হত্যা করেছেন। কারণ মণিপুর যে দেশের একটা অংশ তা মনেই করেন না প্রধানমন্ত্রী। আপনারা দেশদ্রোহী। মণিপুরে দেশকে হত্যা করা হয়েছে। আপনারা ভারতমাতার রক্ষক নন, আপনারা ভারতমাতার ঘাতক।
এর জবাবে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, কথা বলার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে দেশের কোনও অপমান না হয়। তখন গলা চড়িয়ে রাহুলও বলেন, আমি আমার মায়ের হত্যার কথাও বলতে পারব না। নরেন্দ্র মোদি কেবল দুজনের কথা শুনতে পান। আর কারও কথা তাঁর কানে যায় না। রাহুল বলেন, রাবণ দুজনের কথা শুনতে পেতেন মেঘনাদ এবং কুম্ভকর্ণের কথা। মোদিও কেবল মাত্র দুজনের কথা শোনেন। একজন অমিত শাহ, অন্যজন আদানি। লঙ্কায় হনুমানজি আগুন লাগাননি। রাবণের ঔদ্ধত্য ও অহংকারে জ্বলে খাক হয়ে গিয়েছিল লঙ্কা। এই দেশেও আগুন লাগানোর চেষ্টা চলছে, বলেন রাহুল। এদিনের মতো রাহুলকে এত উত্তেজিতভাবে ভাষণ দিতে খুব কমই দেখা গিয়েছে।