‘উনি ধর্ষণকারীদের পক্ষে’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি তোপ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের মুক্তির বিষয়ে টুইট করে রাহুল মোদিকে আক্রমণ করে বলেন, উনি ধর্ষণকারীদের পক্ষে। ২০০২ সালে দেশজুড়ে তোলপাড় তোলা এই ঘটনায় ১১ জন অপরাধীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই মুক্তি দেওয়া হয় গত ১৫ অগাস্ট। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গুজরাত সরকার শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, ওদের মুক্তির ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। আর তাতেই সরাসরি মোদিকে বাণ হেনেছেন রাহুল।
রাহুল হিন্দিতে টুইটে লিখেছেন, লালকেল্লা থেকে মহিলা সশক্তিকরণ নিয়ে বড় বড় কথা। কিন্তু, আসলে ধর্ষণকারীদের পাশে, তাদের পক্ষে দাঁড়ানো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এবং সদিচ্ছার মধ্যে ফারাক অত্যন্ত স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের সঙ্গে ছল করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: Bilkis Bano: বিলকিসের ধর্ষণকারীদের মুক্তি কীভাবে? জানেন নেপথ্য কারণ!
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি নারী সশক্তিকরণের কথা বলেছিলেন। ওইদিনই বিলকিসের গণধর্ষণকারী ১১ জন অপরাধীকে গুজরাতের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিলকিসের ধর্ষণকারীদের মুক্তির বিষয়টিতে ছাড়পত্র দিতে কেন্দ্র মাত্র ২ সপ্তাহ সময় নিয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টে গুজরাত সরকার বলেছে, ওই ব্যক্তিরা ১৪ বছর জেল খেটেছে। তাদের ব্যবহার ভালো ছিল। আর তাতেই কেন্দ্র তাদের মুক্তির বিষয়ে ছাড়পত্র দেয়। তাদের মুক্তিতে দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনা সত্ত্বেও প্রায় বীরের মর্যাদায় তারা জেলের প্রাচীর থেকে বেরয়। গুজরাতের জেলের বাইরে তাদের গলায় মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হয়।
সিবিআই এবং বিশেষ বিচারকের আপত্তি অগ্রাহ্য করে কেন্দ্র ও গুজরাত তাদের মুক্তি দেয়। তথ্যে দেখা যাচ্ছে, অপরাধীরা মুক্তির আগেও ১০০০ দিন প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিল। প্যারোলে ছাড়া পেয়েও তারা বিলকিস বানোকে উত্ত্যক্ত করে বলে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এবার মুক্তির পরও বিলকিসের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানায়নি গুজরাত পুলিশ।