নয়াদিল্লী: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গেলেন। গুজরাত হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শনিবার রাহুল শীর্ষ আদালতে আপিল করলেন। সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাহুলকে দুবছরের জন্য কারাদণ্ড দেয়। তারপরই রাতারাতি লোকসভার সচিবালয় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাহুল সুরাতের নগর দায়রা আদালতে যান। সেই আদালতও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে। এরপর কংগ্রেস নেতা গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ৭ জুলাই গুজরাত হাইকোর্ট রাহুলের আবেদন খারিজ করে দেয়। অবশেষে এদিন রাহুল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন গুজরাত হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকে এক সভায় রাহুল বলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি মোদি হয় কেন। ললিত মোদি, নীরব মোদি, নরেন্দ্র মোদি….। রাহুলের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। তাঁর অভিযোগ, রাহুল গান্ধী গোটা মোদি সমাজকে অপমান করেছেন। রাহুলের দাবি ছিল, তিনি কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য ওই মন্তব্য করেননি। তাছাড়া তাঁর আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, কর্নাটকে করা রাহুলের মন্তব্যের জেরে গুজরাতের বিজেপি নেতা কেন মামলা করলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাহুল গান্ধী নরেন্দ্র মোদি এবং গৌতম আদানির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলেই তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে। না হলে ২০১৯ সালের ঘটনার এতদিন পর কেন সেই পুরনো বিষয় টেনে আনা হবে কেন।
আরও পড়ুন: North Korea | উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে চিন্তিত আমেরিকা
গত ২৩ মার্চ সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তবে উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য রাহুলকে একমাস সময় দেওয়া হয়। ৩ এপ্রিল রাহুল সুরাতের নগর দায়রা আদালতে নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন। ২০ এপ্রিল সেই আবেদন খারিজ করে নগর দায়রা আদালত। তাকে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাত হাইকোর্টে যান কংগ্রেস নেতা।