ভুবনেশ্বর: প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রেলের অত্যাধুনিক কবচ (Kavach) প্রযুক্তি নিয়ে। কোথায় গেল কবচ? রেলমন্ত্রী (Railway Minister) কবচের ঘোষণা করে প্রযুক্তির (Technology) ট্রেনে চেপে পরীক্ষামূলক ভ্রমণ করেছিলেন। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গত বছর চার মার্চ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী দেখাচ্ছেন দুটি ট্রেন (Train) মুখোমুখি হলে কীভাবে দুর্ঘটনা (Accident) এড়ানো যাবে। এই প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয় কবচ। শুক্রবার বালেশ্বরের (Balewar) কাছে বাহানগা বাজারে লাইনচ্যুত হয় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express) ১৫টি বগি। একইসঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বেঙ্গালুরু হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস (Bengaluru Howrah Superfast Express) ও একটি মালগাড়ি। যাতে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। আহত বহু। এখন প্রশ্ন উঠছে তবে কী রেলের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এই দুই ট্রেন ও মালগাড়িতে ছিল কি না। কী হল কবচের ঘোষণার?
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে কবচ নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে। ২০১৪ সালে এই প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়। কবচ মূলত সংঘর্ষ বিরোধী প্রযুক্তি। দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ এর মাধ্যমে এড়ানো যায়। রেলের দাবি ছিল, এই প্রযুক্তি দুর্ঘটনা শূন্য পরিষেবার জন্ম দেবে। বড় কোনও দুর্ঘটনা থেকে স্বয়ংক্রিয় এই ব্যবস্থা ট্রেনকে রক্ষা করবে বলে দাবি ছিল রেলের। ২০২০ সালে কবচকে জাতীয় স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কবচ প্রযুক্তিতে (Kavach Technology) রয়েছে মাইক্রো প্রসেসর, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ও রেডিয়ো সংযোগ ব্যবস্থা। একই লাইনের উপর দুটি ট্রেনের উপস্থিতি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকেই বুঝতে পারে কবচ। সেই অনুযায়ী আগেভাগে চালককে সতর্ক করে দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: Doctors Leave Canceled | ট্রেন দুর্ঘটনার জের, মেদিনীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল
দুর্ঘটনার (Accident) সঠিক কারণ এখনও উঠে না এলেও প্রযুক্তির গণ্ডগোল এড়ানো যাবে না। সেখানেই আধুনিক প্রযুক্তির কবচ নিয়ে প্রশ্ন (Question) উঠছে।