লাহোর: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) ডেরায় সন্ত্রাসবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে। তাদের হস্তান্তর করে দেওয়া উচিত। না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের (Punjab Province) মন্ত্রীর (Minister)। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (Tehreek-e-insaf) পার্টিকে ২৪ ঘণ্টার সতর্কবার্তা দিলেন ওই মন্ত্রী। বলা হয়েছে, যেন তারা ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসবাদীকে হস্তান্তর করে। যারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জামন পার্কের (Zaman Park) বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। ওই কেয়ারটেকার তথ্য মন্ত্রী আমির মীর (Amir Mir) বলেন, পিটিআইয়ের এই সন্ত্রাসবাদীদের হস্তান্তর করা উচিত। না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার এই সন্ত্রাসবাদীদের বিষয়ে সচেতন। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্র তাই বলছে। যে গোয়েন্দা রিপোর্ট উঠে আসছে তা সতর্ক করার মতো।
পিটিআইয়ের প্রধান গত এক বছর ধরে মিলিটারিকে টার্গেট করছে। সেই বিষয়ে মীর বলেন, পিটিআই নেতৃত্ব আগেই এই আক্রমণের নকশা তৈরি করেছিল। অন্তর্বর্তীকালীন তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মিলিটারি ইনস্টলেশনে আক্রমণ করা হয়েছিল ৯ মে প্রতিবাদের দিন। এর জন্য বিশদে পরিকল্পনা করা ছিল আগে থেকেই। তিনি বলেন, সরকার এই বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। অন্তবর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি এই বিষয়ে পঞ্জাব পুলিশকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে। প্যারামিলিটারির দ্বারা ইমরান খানের গ্রেফতারির জেরে তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ হয়। যে ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে গ্রেফতার হয়। ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ ও সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: Cannes Film Festival 2023 | কানের কার্পেটে সাদা লেহঙ্গাতে লাস্যময়ী সারা
এদিকে ইমরান খানের পর এবার তাঁর স্ত্রী বুশরা খান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেলেন। সোমবার লাহোর হাইকোর্ট ২৩ মে পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। এদিন স্ত্রীর সঙ্গে আদালতে গিয়েছিলেন ইমরান (Imran Khan)। নিরপত্তারক্ষীরা সেখানে তাঁদের সাদা চাদর দিয়ে ঘিরে ফেলেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৯ মে গ্রেফতার (Arrested) হন। গত শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ ইমরান খানের দুই সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছে। পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আদালতে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন পান ইমরান। রামনা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোয় মদত দেওয়ার অভিযোগ ছিল। আদালতের বাইরে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে, তাতে তাঁকে অভিযুক্ত করে আরও দুটি মামলা ঝুলছে। গোরলা থানায় সেই দুটি মামলা রয়েছে।
