নয়াদিল্লি: দেশের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব-এর মতো ইস্যু, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের উপর চাপ তৈরি করা-এমনই নানা অভিযোগ। আর তার প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা বেছে নিলেন কালো রংকে। কালো পোশাকে পথে নামলেন তাঁরা। রাজধানীর রাজপথ কালো পোশাক পরা কংগ্রেস কর্মীদের প্রতিবাদে মুখরিত হয়ে উঠল। দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন অভিযানে তুলকালাম হয়ে উঠল। আটক করা হল রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদের।
দিল্লিতে কংগ্রেসের কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও। সাংসদদের যাওয়ার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও এদিন কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। দিল্লির অভিযান ঘিরে কংগ্রেস ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল। আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে এর জন্য বিরায় ম্যারাপ বাঁধা হয়। রাতে থাকারও ব্যবস্থা করা হয়। এ দিন সকাল থেকেই কালো পোশাকে পথে নামেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দিল্লি পুলিস তাঁদের আটকে দেয়। রীতিমতো চ্যাংদোলা করা প্রিয়াঙ্কাকে ভ্যানে তোলে পুলিস। আটক করা হয় রাহুল-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতাকে। বিক্ষোভে শামিল হন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও।
এদিন সকাল থেকেই দিল্লিতে বৃষ্টি চলে। সেই বৃষ্টির মধ্যেই কংগ্রেস নেতারা মিছিল শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি হয়। তার আগেই সকালে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল চড়া সুরে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস লাগাতার বিজেপির সমালোচনা করছে বলেই কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই লেলিয়ে দিচ্ছে। আমরা অবশ্য তাতে ভয় পাই না। মোদি-শাহের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই চলবে। পুলিসের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর অধীর চৌধুরীকে পাশে নিয়ে রাহুল বলেন, আজ যা হল, তা গণতন্ত্রের লজ্জা। আমরা মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি।