নয়াদিল্লি: শুক্রবারেই নয়াদিল্লি থেকে জাপানে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। জি-৭ সামিটে (G-7 Summit) যোগ দিতেই জাপানের হিরোশিমা শহরে। সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার কণ্ঠস্বর হিসাবে যোগদান করবেন তিনি। চার দিনের সফরে মোট তিনটি দেশে সফর করবেন এবং ৪০ টিরও বেশি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। শীর্ষ সম্মেলনগুলির পাশাপাশি কমপক্ষে ২৪ জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে মোদির।
শুক্রবার থেকে জাপানে শুরু হয়েছে জি-৭ সম্মেলন। তার আগে বৃহস্পতিবার এই সম্মেলন নিয়ে মুখ খোলেন ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোশি এফ সুজুকি। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা চান আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশগুলির মধ্যে আরও একতা বজায় থাক। আর সেখানেই ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিতে পারে ভারত। আর সেখানেই মোদির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জাপান সফর যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি সফরসূচি প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজের সফর নিয়ে জানান, এবারের জি-৭ সামিটে তাঁর উপস্থিতি অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এই বছরে জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। এছাড়াও জি-৭ সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও আশাবাদী তিনি। মোদি আরও জানান, সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ভারত এলে তাঁর সঙ্গে অনেক কথা হয়। জি-৭ সামিটের দৌলতে আবারও একবার কিশিদার সঙ্গে সাক্ষৎ হবে।
এই বৈঠকেই মোদির সঙ্গে দেখা হবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির ফোন কথা হয়েছে একাধিকবার। যুদ্ধের আবহে তাঁর সঙ্গে মোদির দেখা হবে এই প্রথম।
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রের খবর, ২১ মে পর্যন্ত জাপানের হিরোশিমায় জি-৭ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ মে মোদি ফোরাম ফর ইন্ডিয়া-প্যাসিফিক আইল্যান্ডস কো-অপারেশন সামিটে যোগ দেবেন। এরপর পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। এছাড়াও বিশ্বশান্তির বার্তা দিতে হিরোশিমায় একটি গান্ধীমূর্তি উন্মোচন করবেন। জি-৭ সম্মেলনে এই নিয়ে মোদি চতুর্থবার যোগদান।