কলকাতা: তাঁর ছোড়া পাঁচটা বুলেট ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছিল তাঁর সহকর্মীর দেহটা। মুহূর্তের রাগে এমন কাজ করে ফেলেছিলেন। কিছু পর সম্বিৎ ফিরে পান। অনুতপ্ত হন। বুঝতে পারেন কী ভুল করেছেন। তখনই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন শনিবার সিআইএসএফের ব্যারাকে ঘাতক জওয়ান অক্ষয় কুমার মিশ্র। অন্তত সিআইএসএফের একটি সূত্র এমনই জানাচ্ছে।
পুলিস এবং সিআইএসএফের সূত্রে জানানো হয়েছে, ফোনে এবং মাইকিং করে অক্ষয়কে বঝানো হয়। তাঁকে শান্ত করা হয়। অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। একাধিকবার অনুরোধ-বোঝানোর পর আত্মসমর্পণে রাজি হন অক্ষয়। তখনই পুলিসের কাছে তিনি শর্ত দেন বন্দুক ফেলে যেন ভিতরে আসেন তাঁরা। সেই মতোই পুলিসের একটি দল ভিতরে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় অক্ষয়কে।
অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘাতক অক্ষয়ের চালানো গুলির মধ্যে অন্তত পাঁচটি গুলি লেগেছিল তাঁর সহকর্মী রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গির শরীরে। যার মধ্যে একটি বুলেট লেগেছে মুখের ডান দিকে, দ্বিতীয়টি বাম হাতে এবং তৃয়টি লেগেছিল তার বুকে। শরীরের একাধিক জায়গায় হাড় ভেঙে গিয়েছে। বহু জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। রবিবার তাঁকে রিমাউন্ড রোডের সিআইএসএফের গেস্ট হাউসে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। ইতিমধ্যেই ওডিশার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে তাঁর মৃতদেহ।