নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দেশ থেকে বের করে দেওয়ার নিদান বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের (BJP MP Pragya Thakur)। সম্প্রতি লন্ডনে (London) গিয়ে বিভিন্ন ভাষণে-বক্তৃতায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বিজেপি সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন। তারই প্রতিক্রিয়ায় বিতর্কিত বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে নিজের দেশের নিন্দা করে রাহুল যা করেছেন তা লজ্জাজনক। তাঁকে দেশ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া উচিত।
ব্রিটিশ সংসদে (British Parliament) ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল অভিযোগ তোলেন, ভারতের সংসদে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। তাঁদের মাইক্রোফোন বন্ধ করে রাখা হয়। ব্রিটেনের জনপ্রতিনিধি সভার চত্বরে গ্র্যান্ড কমিটি রুমে প্রবীণ ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মার উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ তোলেন রাহুল।
আরও পড়ুন: Silicon Valley Bank | সিলিকন ভ্যালির কর্মীদের ৪৫ দিন দেড় গুণ বেতনে রেখে দেবে এফডিআইসি
ভোপালের (Bhopal) বিতর্কিত বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা ঠাকুরের দাবি, চাণক্য একবার বলেছিলেন, কোনও বিদেশি রমণীর গর্ভজাত পুত্র দেশপ্রেমিক হতে পারে না। রাহুল গান্ধী সেই আপ্তবাক্য প্রমাণ করে দেখালেন। প্রজ্ঞা আরও বলেন, আমরা জানতাম উনি ভারতীয় নন, কারণ ওনার মা ইতালির নাগরিক। সেখানেই জন্ম।
ওয়েনাড়ের (Wayenad) সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, কংগ্রেসই তো সংসদের কাজ চলতে দিচ্ছে না। যদি সংসদ মসৃণভাবে চলত, তাহলে আরও অনেক কাজ এগিয়ে যেত। আসলে সংসদে যদি আরও কাজ হতো, তাহলে কংগ্রেসের অস্তিত্বই থাকত না। ওদের অস্তিত্ব ক্রমশ বিলুপ্তির পথে। ওদের ভিতরেই দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে, জবাব দেন প্রজ্ঞা ঠাকুর।
রাহুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি দেশের একজন নেতা। মানুষের ভোট নির্বাচিত হয়েছেন। এখন সেই দেশের মানুষকেই অপমান করছেন। বিদেশে গিয়ে আপনি বলে বেড়াচ্ছেন, ভারতের সংসদে বিরোধী দলগুলির মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তাদের কথা শোনা হচ্ছে না। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে! তাঁকে রাজনীতিতে থাকতে দেওয়াই উচিত নয়, দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত বলে দাবি বিজেপি নেত্রীর।
প্রজ্ঞার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মুখপাত্র কে কে মিশ্র বলেন, বড়বড় কথা বলার আগে প্রজ্ঞা ঠাকুর যেন মনে রাখেন যে, মালেগাঁও বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত উনি। ২০১৭ সালে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। তাঁর মুখে এসব কথা মানায় না।