বহরমপুর: ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরে (Bharatpur)। ব্যাপক বোমাবাজি সরডাঙ্গা (Sardanga) গ্রামে। জখম একাধিক। ভোট পর্ব মেটার সঙ্গে সঙ্গে মুর্শিদাবাদে শুরু হল ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যায় ব্যাপক বোমাবাজি হয় ভরতপুর থানার সরডাঙ্গা গ্রামে। বোমায় জখম হয়ে কান্দি মহকুম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর দেওর আশারুল সেখ । ঘটনায় একাধিক জন জখম হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। অভিযোগ, এদিন নির্বাচন পর্ব মেটার পর সরডাঙ্গা গ্রামের নির্দল প্রার্থীর অনুগামীরা তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা মারতে শুরু করে। গ্রামে চল্লিশটির বেশি বোমা পরেছে বলে জানা গিয়েছে।
আশারুল সেখ বলেন, আমরা চার ভাই যাচ্ছিলাম। সেসময়ই বোমা মারে। আমি মরে যেতাম। অল্পের জন্য বেঁচেছি। আমার পায়ে বোমা লেগেছে। যারা বোমা মেরেছে তারা নির্দল সমর্থক। ওদের শাস্তির দাবি করছি। উল্লেখ্য, স্থানীয়দের মতে, সরডাঙা গ্রাম উত্তেজনাপ্রবণ। প্রতিবার নির্বাচনের সময় এখানে অশান্তি লেগেই থাকে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | হরিহরপাড়ায় পুলিশের গাড়িতে আগুন
পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। রক্তের হোলি মুর্শিদাবাদ জুড়ে। এবার ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি দেখা গেল। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদে ভোটের বলি পাঁচ। গতকাল রাত থেকে এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজন তৃণমুল কর্মী- সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। গতকাল রাতে বেলডাঙ্গার এলাকার বাবর আলি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। পাশপাশি রেজিনগর থানার নাজিরপুর এলাকা থেকে তৃণমূল কর্মী ইয়াসিন শেখের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে বোমা মেরে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে এদিন সকালে খড়গ্রামের রতনপুরে সতরুদ্দিন শেখকে কুপিয়ে খুন করা হয়। তিনিও তৃণমুল কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ভোটের হিংসায় আহত এক মহিলা সহ চারজন। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।