আগরতলা: ভোটে জেতার পরেই ত্রিপুরায় (Tripura) সন্ত্রাস (Post Poll Violance) শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ভাঙচুর, লুটপাট, জোর করে দোকান বন্ধ করে দেওয়া সব চলছে। বিরোধী দলগুলি এই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
কলকাতায় তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শুক্রবার রাতে বলেন, বিজেপি (BJP) ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস শুরু করেছে। এখন কোথায় সিবিআই, কোথায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, কোথায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল? তিনি বলেন, সিপিএম, কংগ্রেস কেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছে, কেন তারা আন্দোলনে নামছে না? আসলে এই দুই দল অলক্ষ্যে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: Ales Bialiatski:পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার নোবেলজয়ী বিয়ালিয়াতস্কি
রাজ্য বামফ্রন্ট (Left Front) এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছে, বিজেপি খুব অল্পের জন্য ক্ষমতা দখল করতে পেরেছে। অ-বিজেপি দলগুলির ভোট বিভাজনের সুযোগ নিয়ে বিজেপি দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে। বৃহস্পতিবার গণনাকেন্দ্রেও বিজেপি সমর্থকরা বিরোধীদের উপর হামলা করেছে। ফল ঘোষণার পর থেকে লাগামহীন সন্ত্রাস শুরু করেছে বিজেপি। মারধর, ভাঙচুর, হুমকি চলছে। হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে বাধা দিচ্ছে। গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপি যা চালিয়ে গিয়েছে, এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে এই হামলা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
বিজেপির তরফে অবশ্য দাবি, তারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ভোটে জেতার পর মারামারি করার আর প্রয়োজন পড়ে না। এতদিন বিরোধীরা যেসব এলাকায় ভোটের নামে দাপিয়ে বেড়িয়েছে, কিছু জায়গায় তার বিরুদ্ধে জনরোষ হয়েছে। পুলিশ সব অভিযোগে তদন্ত করে দেখছে, তাতেই বিষয়টি দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে।
কিন্তু, শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম আলাদা আলাদাভাবে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলেছে। বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি, এমন অভিযোগ উঠেছে। বহু জায়গায় বিজেপি বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা আতঙ্কে ঘরছাড়া রয়েছেন। মারধর করা হলেও পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না। উল্টে বিরোধীদেরই নানা মামলায় ফাঁসিয়ে আটক করছে বলে অভিযোগ।