ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) সেদেশের সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানালেন, জেলে তিনি প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন। বর্তমান শেহবাজ শরিফ সরকার জেলের মধ্যে তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইমরান খানকে সুপ্রিম কোর্টে পিছনের দরজা দিয়ে আনা হয়। ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতৃত্ব তাঁদের সমর্থকদের বলেছে তাঁরা যেন সুপ্রিম কোর্টের দিকে না যায়। কারণ তা হলে ভিড়ের জন্য শুনানিতে দেরি হতে পারে। প্রধান বিচারপতিকে বিষয়টি দেখতে দেওয়া হোক। এদিকে পিটিআই জানিয়েছে, ইমরান খানকে যদি সরকার এদিন জেল থেকে ছেড়ে না দেয় শুক্রবার নামাজের পর সব পাকিস্তানি ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। যেভাবে ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়ে ক্রুদ্ধ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। যেভাবে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করা হয় তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সেদেশের সর্বোচ্চ আদালত। উল্লেখ্যে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেয়, দুর্নীতি দমন শাখাকে এক ঘণ্টার মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে সর্বোচ্চ আদালতে হাজির করাতে হবে। তারপরই ইমরান খানকে নিয়ে আসা হয়। মনে করা হচ্ছে, আদালত চত্বরে ঢুকে দুর্নীতি দমন শাখা আদালত অবমাননা করেছেন। কোর্ট রেজিস্ট্রারে কাছে অনুমতি না নিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা বেআইনি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল, বিচারপতি আলি মাজহার, বিচারপতি আথার মিনাল্লা।
এদিন শুনানির সময় বেঞ্চ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যেভাবে ৭০ বছর বয়সী ইমরান খানকে হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যেখানে লাহোর থেকে তিনি একটি মামলার জন্য এসেছিলেন। কোর্টের মধ্যে যদি ৯০ জন ঢুকে পড়ে তাহলে কোর্টের কী মর্যাদা থাকে? অতীতে কোর্ট চত্বরে খারাপ আচরণের জন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসে তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করার কী মানে থাকে?
আরও পড়ুন: Roopa Ganguly | Meyebela | এবার রূপার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক চিত্রনাট্যকার
এদিন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে এক ঘণ্টার মধ্যে হাজির করানোর জন্য ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও এনএবি-র তরফে আরও কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল, বিচারপতি মহম্মদ আলি মাজহার এবং বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহরকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের আবেদনের শুনানিতে এই নির্দেশ জারি করেছে। এদিন বিচারপতি এও মন্তব্য করেন, আদালত কোনওভাবে পাকিস্তানকে কারাগার হিসেবে দেখতে চায় না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে ইমরান খানকে সেখানে হাজির করাতে হবে।