মেদিনীপুর: সম্পর্কের টানাপড়েন নাকি ডাক্তারি পড়ার চাপ থেকে মানসিক অবসাদ? মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় সহপাঠীদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন৷
বন্ধু মহলে মেধাবী ছাত্রী বলেই সকলে চিনত মিনি ঘোষকে৷ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের (পিজিটি) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল মিনি৷ মঙ্গলবার রাতে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ৷ পুলিশ ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট খুঁজে পেয়েছে৷ কিন্তু সেখানে কী লেখা রয়েছে তা জানাতে চায়নি৷ তবে হস্টেলের অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে৷ খবর দেওয়া হয়েছে মিনির পরিবারকে৷
আরও পড়ুন: আলাপনের আগে বিভিন্ন মহিলাকে অশ্লীল ও হুমকি চিঠি পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসক অরিন্দম সেন
মিনির বাড়ি মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকায়৷ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন৷ স্বভাবতই মেয়ের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন তাঁরা৷ মিনির আত্মহত্যার খবরে হতবাক তাঁর বন্ধুরাও৷ পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে মিনির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দেখেন তাঁর ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ৷ অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও ভেতর থেকে কোনও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁদের৷
আরও পড়ুন: শুটার জয়দীপ কর্মকারের বাড়িতে চুরি, গ্রেফতার পরিচারিকা
এর পরই দরজা ভেঙে ফেলা হয়৷ কিন্তু ভেতরে ঢুকতেই থমকে যান সকলে৷ গিয়ে দেখেন, সিলিং থেকে ঝুলছে মিনির দেহ৷ এর পরই খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানার পুলিশকে৷ পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ ঘর থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট৷ ময়নাতদন্তের পরই দেহ তুলে দেওয়া হবে মিনির পরিবারকে৷