কলকাতা: চোর সন্দেহে যুবকের বুকে লাথি মারার ঘটনায় মুখ খুললেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র৷ সোমবার সন্ধেয় তিনি জানান, নাগরিক হিসাবে গোটা ঘটনার বিষয়ে তিনি লজ্জিত৷ পুলিশ অফিসার হিসাবে ঘটনার তদন্ত করে দেখছেন৷ তবে, সারাদিনে পুলিশকে বহু চাপের মধ্যে থাকতে হয়৷ সে কারণে ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷
পুলিশ কমিশনার বলেন, ইতিমধ্যে প্রধান অভিযুক্তকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন কিনা, থাকলেও তাঁদের কর্তব্যে কোনও রকম গাফিলতি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ পুলিশের কাজে যুক্ত সকলের মানসিক চাপ কমাতে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷
এই ঘটনায় পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও বিতর্ক সেখানেই থেমে থাকেনি৷ বরং নানা প্রশ্ন এবং অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে৷ কর্তব্যে গাফিলতির মত গুরুতর অভিযোগ উঠছে ট্র্যাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে৷ তার পরই সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের সমস্ত অফিসারকে ডেকে পাঠান পুলিশ কমিশনার৷
আরও পড়ুন: কলকাতার রাস্তায় ফ্লয়েডের স্মৃতি উস্কে বুকে লাথি, চাকরি গেল সিভিক পুলিসের
রবিবার সন্ধেয় রবীন্দ্র সদনের এক্সাইড মোড়ে বুট পরা পায়ে এক যুবককে লাথি মারতে দেখা যায় সিভিক পুলিশকে৷ সেই ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ তার পর থেকেই সিভিক পুলিশের অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা শুরু হয়েছে৷ সমালোচকদের সমালোচনা থেকে রেহাই পায়নি কলকাতা পুলিশও৷ ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসাররা৷ কিন্তু ঘটনার মীমাংসায় নিজেরা না গিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার তন্ময় বিশ্বাসকে সেখানে পাঠান৷ ওই সিভিক ভলান্টিয়ার গিয়েই চোর সন্দেহে অভিযুক্ত যুবককে ফুটপাতে ফেলে লাথি মারতে শুরু করেন৷
আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমানোর দাবিতে বিজেপির মিছিল, গোলমালের আশঙ্কা
এর পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে৷ এমন অমানবিক কাণ্ড ঘটিয়ে অভিযুক্ত গ্রিন পুলিশকে কেন গ্রেফতার করা হল না? লালবাজারের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, তন্ময় বিশ্বাসকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে৷ কিন্তু তন্ময়ের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা যথেষ্ট নয় বলে অনেকে মনে করছেন৷ তাঁকে গ্রেফতারের দাবি উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷