নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) নরেন্দ্র মোদির পঞ্জাব সফরের সময় তাঁর নিরাপত্তা (PM Security Lapse) লঙ্ঘিত হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে কমিটি (Probe Committee) গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তিন সদস্যের স্বাধীন এই কমিটি গড়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে পঞ্জাবের পুলিস ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের শোকজ নোটিস পাঠানো হয়। বিষয়টি সুপ্রিম ডিভিশন বেঞ্চের নজরে আনা হলে, কেন্দ্রীয় সলিসিটর জেনারেলের কাছে এ নিয়ে কৈফিয়ত তলব করে সুপ্রিম কোর্ট।
সলিসিটর জেনারেলের তরফে কেন্দ্রীয় কমিটি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি তদন্ত করানোর কথা বলা হলে, পঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল তাতে অনাস্থা প্রকাশ করেন। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন ভাবে তদন্ত করানোর প্রস্তাব দেন। পঞ্জাব সরকারের এই আবেদনে সাড়া দিয়েই সুপ্রিম কোর্টে এ দিন তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: Covid-19: দেশে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, মহারাষ্ট্রের পরই দুইয়ে বাংলা
৫ জানুয়ারি পঞ্জাব সফরে গিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হুসেইনওয়ালায় সভা ছিল মোদির। কিন্তু সভাস্থলে পৌঁছনোর আগেই ফিরোজপুর ফ্লাইওভারে আটকে যায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। কৃষকদের বিক্ষোভের কারণে প্রায় ২০ মিনিট আটকে যায় মোদির কনভয়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজির সিদ্ধান্তে এর পর হুসেইনওয়ালায় না গিয়ে ভাতিন্দা বিমানবন্দরে ফিরে যায় মোদির কনভয়। সেখানে থেকে দিল্লিতে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী।
ফিরোজপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা গোটা ঘটনার জন্য পঞ্জাব সরকারকে দায়ী করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি থাকার অভিযোগ তোলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও দাবি করে পঞ্জাব সরকারের তরফে নিরাপত্তায় বড়সড় গাফিলতি ছিল। যদিও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই নিরাপত্তায় গাফিলতি থাকার অভিযোগ খারিজ করে দেন। বিতর্কের মুখে পঞ্জাব সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করে। কেন্দ্রের তরফেও আলাদা করে কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলাটি উঠলে, শীর্ষ আদালত কেন্দ্র ও রাজ্যের তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয়। তার পরেও পঞ্জাব সরকারের একাধিক আধিকারিককে শোকজ নোটিশ পাঠায় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই ভূমিকায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, ‘লইয়ার্স ভয়েস’ নামে একটি এনজিও সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। তার প্রেক্ষিতেই মামলাটি গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।
আরও পড়ুন: Covid-19: কোভিড আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা কবে পাবে বুস্টার ডোজ? কী বলছে