নয়াদিল্লি: ২০২৪-এ হতে চলেছে লোকসভার কুরুক্ষেত্র। তার আগে যুযুধান দুপক্ষই সেনাশিবির তৈরির কূটনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া নামে একটি মঞ্চ তৈরি করেছে। এবার বিজেপিও শিবির মজবুত করার লক্ষ্যে নামতে চলেছে। আগামী ৩১ জুলাই থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের শরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের সাংসদদের নিয়ে প্রথম বৈঠকটি বসছে।
ওই বৈঠকের পরেই পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার এমপিদের নিয়ে বৈঠক হবে। দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা, নীতিন গড়করি, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, ধর্মেন্দ্র প্রধান প্রমুখ এই বৈঠকে থাকবেন। এইভাবে প্রায় রোজ বিভিন্ন রাজ্যের এমপিদের নিয়ে আলোচনা চলবে। তার কয়েকটি বৈঠকে স্বয়ং উপস্থিত থাকবেন মোদি।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi | মোদিকে নিশানা রাহুল-খাড়্গের, প্রধানমন্ত্রীর জন্যই জ্বলছে মণিপুর
প্রসঙ্গত, বিরোধী জোট গঠনের দিনই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, ২৬টি দলের যে জোট হচ্ছে, তার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। এনডিএ-র যে বৈঠক হতে চলেছে তাকেও কটাক্ষ করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, ওরা ৩০ দলের বৈঠকে বসতে চলেছে। জানি না, ওরা এতগুলি দল কোথা থেকে পেল। আসলে বিরোধী দলদের দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভয় পেয়েছেন।
খাড়্গে জানিয়ে দেন, তাঁর দল ক্ষমতার জন্য কিংবা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লালায়িত নয়। মহাবৈঠকের দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী ভাষণে খাড়্গে আরও বলেন, কংগ্রেসের লক্ষ্য আবার ক্ষমতা দখল করা নয়। এই জমায়েতের উদ্দেশ্য হল আমাদের দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে রক্ষা করা। তিনি স্বীকার করেন, বিভিন্ন রাজ্যস্তরে বিরোধী দলগুলির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু সেগুলি আদর্শগত লড়াই নয়। সেই মতপার্থক্য এমন কিছু বড় নয় যা এই মুহূর্তে সরিয়ে রাখা যায় না। এখন সব থেকে বড় সমস্যা দেশের সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষের যারা বাজারদর নিয়ে নাজেহাল, সেইসব যুবরা যারা বেকারির যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছে তাদের কথা ভাবার সময় এসেছে। মনে রাখতে হবে, এখানে যে ২৬টি দল এসেছে তারা ১১টি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে।
বিরোধীদের মহাজোটের পরেই রাজধানীতে এনডিএ (NDA) জোটের বৈঠক ছিল, যেখানে বিরোধী জোটকে নস্যাৎ করতে চাইলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিরোধী জোটের নতুন নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলে দেন, নেতিবাচকতার জোট কখনও জিততে পারে না। মোদি আরও বলেন, আজ মানুষ দেখছে এনডিএ-র অংশ কারা। এই জোট দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করা। এর লক্ষ্যই আগে দেশ, আগে অগ্রগতি, আগে মানুষের ক্ষমতায়ন। গান্ধী এবং আম্বেদকর যে কল্পনা করেছিলেন সেই অনুযায়ী সামাজিক ন্যায় করছে এনডিএ।