আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি আফ্রিকান চিতা (African Cheetah) ভারতে আসবে। জানালেন লরি মার্কার (Laurie Marker), যিনি হলেন ‘প্রজেক্ট চিতা’র (Project Cheetah) মূল মধ্যস্থতাকারী।
এমনিতেই ভারতে বিলুপ্ত পৃথিবীর দ্রুতগামী পশুর নিরাপদ বাসস্থান হিসেবে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো জঙ্গল (Kuno National Park) কতটা নিরাপদ তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদ ও বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা। কারণ, কুনো জাতীয় উদ্যানে রয়েছে হায়নার দল, চিতাবাঘ, বন্য কুকুর। এই শত্রুদের ঘেরাটোপে চিতার নিজস্ব শিকার বা খাদ্যেরও অভাব দেখা দেবে। ফলে, এই বিশাল মাপের প্রকল্প শেষমেশ জলে যাবে না তো! প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের।
শনিবার মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের ৮টি চিতা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এই বিরাট কর্মকাণ্ডের অন্যতম রূপকার চিতা সংরক্ষণ তহবিলের (CCF) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর লরি মার্কার আশ্বাস দিয়েছেন, নামিবিয়া (Namibia) থেকে আরও চিতা ভারতে আসবে। সংবাদ সংস্থাকে মার্কার বলেন, ৮টি চিতা আনার পরও ভারত সরকার দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কথা বলছে এবং কয়েক বছরের মধ্যে নামিবিয়া আরও চিতা পাঠাবে।
মার্কিন চিতা বিশেষজ্ঞ মার্কার আরও বলেন, চিতার বিলুপ্তির কারণ হল মানুষ। ওদের সংরক্ষণের বিষয়টিও নির্ভর করে মানুষের উপর। চিতা যে কোনও পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে এবং ভারতের আবহাওয়ার সঙ্গেও মানাতে পারবে বলে তাঁর দাবি।
এদেশে আনুমানিক ৭০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যায় এশীয় চিতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানাভাব, চোরাশিকার ও খাবারের খোঁজে গ্রামে ঢুকে পড়ায় পিটিয়ে মারা ও শিকারের কারণে চিতা বিলুপ্ত হয়েছিল। সেভাবে এবারেও বিজেপি সরকার এই পরিকল্পনাকে নিয়ে জয়ডঙ্কা বাজালেও পরিবেশবিদরা ৮টি চিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁদের মতে, চিতার ঘুরে বেড়ানোর মতো জায়গা, শিকার, খাদ্য এবং শাবকদের কীভাবে বড় করবে তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তাছাড়াও এই জঙ্গলে রয়েছে হায়নার পাল, দেশীয় চিতাবাঘ, যারা এই জাতীয় চিতার জাতশত্রু। বিশেষত অচেনা-অজানা পরিবেশে ও আবহাওয়ায় এরা আদৌ কতটা মানিয়ে নিতে পারবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।