নয়াদিল্লি: আগামী বছর ১৫ অগাস্ট লালাকেল্লা থেকে তিনি ফের পতাকা তুলবেন বলে দাবি করলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। মঙ্গলবার সকালে ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আগামী বছরও স্বাধীনতা দিবসে এখানেই আপনাদের সামনে আবার আসব। আর এক বছর ধরে আমরা কী কী কাজ করলাম, তার খতিয়ান তুলে ধরব। মোদি আরও বলেন, যে সব প্রকল্পের শিলান্যাস আমি করেছি, সেগুলির উদ্বোধনও আমার হাত দিয়েই হবে। লালাকেল্লা থেকে তিনি ফের বিরোধীদের বিঁধতে ছাড়েননি। স্পষ্টতই বোঝা গিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) ভাষণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যত লোকসভা ভোটের প্রচারই শুরু করে দিলেন।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমেছে বিরোধী দলগুলি। তৈরি হয়েছে INDIA জোট। তারপর থেকেই নিয়ম করে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির তাবড় নেতা মন্ত্রীরা এই জোটকে আক্রমণ করে চলেছেন। বিরোধীদের দাবি, বিজেপি ইন্ডিয়ার আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে।
লোকসভা ভোটের আগে এটাই ছিল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মোদির শেষ ভাষণ। বিরোধীদের বক্তব্য, আগামী বছর আর লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসে মোদিকে ভাণ দিতে হবে না, ভাষণ দেবেন INDIA জোটের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙল, মণিপুর প্রসঙ্গে মোদিকে কটাক্ষ অধীরের
মঙ্গলবার তারই পাল্টা জবাব দিলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, যতই বিজেপি বিরোধী জোট গঠন হোক, ২০২৪ লোকসভা ভোটে জিতে দিল্লির মসনদে ফের তিনিই বসছেন। কংগ্রেসকে বিঁধে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে দেশ দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছিল। আর এই দুর্নীতির জেরেই দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছিল। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেও মোদির মুখে বিরোধীদের পরিবারতন্ত্রের কথা বারবার শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি থেকে পরিবারতন্ত্রকে উপড়ে ফেলতেই হবে। একই সঙ্গে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে মোদি তোষণ নীতিরও অভিযোগ তোলেন। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের বিরুদ্ধে মোদি সহ বিজেপি নেতাদের মূল অভিযোগই হল পরিবারতন্ত্র এবং দুর্নীতি।
২০১৪সালে ক্ষমতায় আসার পর গত ৯ বছরে বিজেপি শাসনে দেশের চেহারা পাল্টে গিয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী এদিন দাবি করেন। তাঁর ভাষণে উঠে আসে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, দেশেরঅর্থনীতির হার ফেরানো, দুর্নীতির সঙ্গে আপস না করা প্রভৃতি প্রসঙ্গ। তাঁর দাবি, খুব শীঘ্রই দেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে। আগামিদিনেও সেই আর্শীবাদ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।