নয়াদিল্লি: ভোটমুখী রাজস্থানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন অশোক গেহলট সরকারকে ‘লুট কি দুকান’ এবং ‘ঝুট কা বাজার’ বলে আক্রমণ করলেন। রাজ্যের উন্নয়ন কংগ্রেস স্তব্ধ করে রেখেছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের আরোগ্য কামনা করেন মোদি। মঞ্চেই তিনি বলেন, হাঁটুতে জখম পেয়েছেন প্রবীণ নেতা। সেই কারণেই সরকারি এই অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি। কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। আমি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
যদিও এই অনুষ্ঠানের আগে বিরাট বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারণ গেহলটের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় রাজস্থানের সিকরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণ দেওয়ার সূচি বাদ দিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানায়, গেহলটের দফতর বলেছে তিনি ওই অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam | নিয়োগ দুর্নীতির ধাক্কা এবার ভোটার তালিকায়
সিকরে এক জনসভায় মোদি বলেন, রাজ্যের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে কংগ্রেস। আমাদের সরকার রাজস্থানকে দেড় লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু, কংগ্রেস গদিতে বসার পর থেকে এখানে কোনও উন্নয়নের কাজে হাত পড়েনি। কংগ্রেসের ভিতর থেকেই ওঠা বিতর্কিত ‘লাল ডায়েরি’ প্রসঙ্গ তুলে মোদি বলেন, এই খাতাই রাঘব বোয়ালদের কালো দলিলের ভাণ্ড ভেঙে দেবে। এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী গেহলট বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ একটি সম্মানজনক পদ। আইটি, ইডি, সিবিআইকে অপব্যবহার করা হচ্ছে দেশজুড়ে। লাল ডায়েরি নিয়ে অনুসন্ধানের প্রয়োজন হলে তাদের কাছ থেকেই তো সংগ্রহ করতে পারেন। রাজস্থানকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা করা হচ্ছে। এখন ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলবে। লাল ডায়েরিও তেমনই একটি অবাস্তব দাবি।
কংগ্রেস একটি দিশাহীন দল, এই অভিযোগ তুলে মোদি বলেন, রাজ্যের যুব সমাজকে প্রশ্নপত্র ফাঁস মাফিয়াদের হাত থেকে বাঁচাতে এই সরকারকে সরাতে হবে। এদিন এই অনুষ্ঠানে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী জোটের নাম নিয়েও এদিন তুলোধনা করেন মোদি। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমলে মহাত্মা গান্ধী ইংরেজ ভারত ছাড়োর ডাক দিয়েছিলেন। আর আজকের মন্ত্র হল, দুর্নীতি ভারত ছাড়ো, পরিবারবাদ ভারত ছাড়ো, তুষ্টিকরণ ভারত ছাড়ো।