নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে আতঙ্কের নতুন নাম ড্রোন৷ গত শনিবার মধ্যরাতে ড্রোনের সাহায্যে পর পর বিস্ফোরণ ঘটানো হয় উপত্যকার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে৷ বিস্ফোরণে কয়েকজন আহত হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি৷ তার পরেও সেনা ঘাঁটির কাছে আকাশে চক্কর কাটতে দেখা যায় একাধিক ড্রোন৷ এর পরই ওঠে প্রশ্ন৷ ড্রোনকেই কি নতুন অস্ত্র হিসাবে বেছে নিল জঙ্গিরা?
আরও পড়ুন: নয়া নীতি মেনে চলতে ফেসবুক, গুগলকে নির্দেশ কেন্দ্রের
যদি সেটাই হয় তাহলে নিঃসন্দেহে দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সেনাবাহিনী৷ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা কীভাবে করা হবে তা নিয়ে চিন্তা বেড়ে গিয়েছে দিল্লিরও৷ তাই আজ মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল৷
সূত্রের খবর, উপত্যকায় ড্রোন হামলা নিয়ে অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং অজিত দোভালের সঙ্গে সবিস্তারে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কী কী উপায়ে ড্রোন হামলা ঠেকানো যায় তা সকলের কাছে ইনপুট চান প্রধানমন্ত্রী৷ এবিষয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাকে আধুনিক করে তোলা গেলে নয়া চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা সম্ভব৷
আরও পড়ুন: তরুণের চিকিৎসায় ব্যর্থ বিজেপি সাংসদ, আসরে বীরবাহা
ড্রোন হামলা নিয়ে উদ্বেগ ঝরে পড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কলোনেল দেবেন্দ্র আনন্দের গলাতেও৷ তিনি বলেন, ‘সীমান্তে সেনাবাহিনী সবসময় সজাগ থাকে৷ তাই বড়সড় হামলা এড়ানো সম্ভব হয়েছে৷’ কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং জানান, এই হামলার পিছনে লস্কর জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে৷ অপরদিকে ড্রোন হামলা রুখতে সরকারকে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছে কংগ্রেস৷ দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়াল জানান, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের ড্রোন হামলা আটকাতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন৷ মোদি সরকারের উচিৎ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মত কাজ করা৷