জোহানেসবার্গ: ধোপে টিকল না জল্পনা। দেখা হল, কিন্তু আলোচনা হল না। ব্রিকস সম্মেলনের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি-শি জিনপিংয়ের বৈঠকের যে জল্পনা চলছিল, তা একেবার গলে জল হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার ব্রিকস সম্মেলনের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চে ওঠার সময় সামান্য দু-একটি সৌজন্য বিনিময়ের কথা হল দুই রাষ্ট্রনেতার। ফলে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কোনও কথাই হল না দুজনের।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির তিনদিনের সম্মেলনের ফাঁকে জিনপিং-মোদির মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকের সম্ভাবনা মুখিয়ে ছিলেন অনেকেই। কিন্তু, এদিন দেখা গেল, দুই নেতা পাশাপাশি হেঁটে মঞ্চে উঠলেন, সামান্য একটা-দুটো কথা বলে আসন গ্রহণ করলেন। প্রসঙ্গত, ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি এবছরই তাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৬টি নতুন দেশকে এই গোষ্ঠীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আর্জেন্তিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব এবং আরব আমিরশাহিকে নয়া সদস্য দেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মূল মাতব্বরি করেছে চিন। চিন এবং ভারতের দুই রাষ্ট্রপ্রধান এক মঞ্চে আসলেও দুজনের মধ্যে কোনও কথা না হওয়ায় হতাশ রাজনৈতিক মহল। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে মোদি ও জিনপিংয়ের মধ্যে গত চার বছরের ভিতরে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনদিনের সম্মেলনের আজই শেষদিন। প্রধানমন্ত্রী মোদি পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে। ইরান, ইথিওপিয়া এবং মোজাম্বিকের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন মোদি। বুধবারও সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে জিনপিং ও মোদি থাকলেও গ্রুপ ছবি তোলার সময় জিনপিং দূরে গিয়ে দাঁড়ান। উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি ২০ বৈঠকের নৈশভোজে মোদি-জিনপিংকে হাতে হাত মেলাতে দেখা গেলেও কোনও মুখোমুখি বৈঠক হয়নি।