২০১৯-এ সাতসকালে মানুষের ঘুম ভাঙার আগে ঘটেছিল, রাজ্যপালের ঘুম ভাঙিয়ে সকাল সাতটায় এনসিপি-র অজিত পাওয়ার দলবল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন রাজভবনে। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী আর অজিতদাদা পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়েছিলেন। ৮০ ঘণ্টা পরে অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে আবার ফিরে এলেন শুধু নয়, মজাটা হল এবারে মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি তৈরি হল। উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী আর অজিত দাদা পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী, মানে উনি বিজেপির সরকারেও ছিলেন, কংগ্রেস, শিবসেনা, এনসিপি-র সরকারেও একই পদে বহাল থাকলেন। এরপর শিবসেনাকে ভাঙা হল, একনাথ শিন্ডের উপর ইডির মামলা ঝুলছিল, তিনি দল ভেঙে বিজেপির ধারে গেলেন, দেশে প্রথমবার একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন, একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী। অজিত দাদা পাওয়ার বিরোধী দলনেতা। এরই মধ্যে বিরোধী ঐক্যের প্রথম বৈঠক হল পাটনায়, তার আগেই মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় পত্রিকা সকাল-এর সমীক্ষা জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি কম করে ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে, আমরাও বলছিলাম, উত্তরপ্রদেশের পরে সবচেয়ে বেশি সাংসদ আছে যে রাজ্যে, সেই রাজ্যের ৪৮টা আসনের ৩৫টাও জিতে যেতে পারে বিরোধীরা।
আমরা বলছিলাম মানে আমরাই বুঝেছিলাম তা তো নয়, মোদি-শাহ এসব জানতেন। কাজেই খেলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মোদিজি আমেরিকা আর মিশর থেকে বেড়িয়ে ফিরেই মধ্যপ্রদেশে কারিয়াকর্তাদের মিটিংয়ে বললেন, নাম করেই বললেন শরদ পাওয়ারের দল ৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। শুনুন—(https://www.youtube.com/live/zoLXsPiDww4?feature=share 1:54:14–1:54:50) এখানেই শেষ? না, মোদিজি জানালেন কংগ্রেস গ্যারান্টি দিচ্ছে ওই ফ্রি বিদ্যুৎ, বেকার ভাতা, ১০ কিলো আনাজের? আমি গ্যারান্টি দেব। তারপর কারিয়াকর্তাদের তাঁতালেন, বললেন কী হল? বলুন দেব গ্যারান্টি? দেব? কারিয়াকর্তাদের সবেতেই আনন্দ, ভক্তের আকুলতা নিয়ে তাঁরা বললেন দিন। মোদিজি বললেন, একজন দুর্নীতিবাজকেও ছাড়া হবে না, একজন ঘোটালাবাজকেও ছাড়া হবে না, থার্ড গ্রেডেড ফিল্মের ডায়ালগ কপি করে বললেন যারা এই চুরি করছে, উসকা হিসাব তো হো কে রহেগা। শুনুন কী বললেন— (https://www.youtube.com/live/zoLXsPiDww4?feature=share 1:56:15–1:57:19) এসব বললেন কবে? ২৭ জুন। আর ২ জুলাই মহারাষ্ট্রে যে নেতার ওপর কৃষি সেচ দফতরের হাজার কোটি টাকার স্ক্যামের মামলা ঝুলছে, সেই অজিত দাদা পাওয়ার বিজেপির মন্ত্রিসভায় সামিল হলেন। কেবল উনিই নাকি? ছগন ভুজবল ৮৭০ কোটি টাকার স্ক্যামে অভিযুক্ত, কৃষকদের কাছ থেকে এই টাকা কামিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। দু’ বছর জেলে থাকার পরে এখন জামিনে, তিনি চলে গেলেন বিজেপি মন্ত্রিসভায়। হাসান মুসরিফ, শরদ পাওয়ার ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা, মানি লন্ডারিং মামলায় ইডির কেস ঝুলছে, সাতদিন আগে নোটিস এসেছে। এবার ইডির ফোন এলে তিনি বলে দেবেন যে তাঁদের নির্দেশ তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন, বা ওই ফোন হয়তো আর আসবেই না, কারণ ওই যে মিথ্যেবাদী প্রধানমন্ত্রীর ঝুটা গ্যারান্টি।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | কংগ্রেসের জোকার অধীর চৌধুরী এবং গান্ধী পুরস্কার
এনসিপির মোট ৯ জন বিজেপি মন্ত্রিসভায় চলে গেল, এর মধ্যে ৬ জনের নামেই ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্সের মামলা ঝুলছে। অন্যদিকে প্রফুল্ল প্যাটেল, যিনি এই কিছুদিন আগে শরদ পাওয়ার দলের পদ ছেড়ে দিচ্ছেন শোনার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন, ছগন ভুজবল যিনি অনশনের হুমকি দিয়েছিলেন, হাসান মুসরিফ রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা বলেছিলেন, তাঁরা সব্বাই এখন বিজেপি শিবিরে। ১২ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলের বৈঠক পিছিয়ে ১৭ আর ১৮ জুলাই করা হচ্ছে। একটু সময় নেওয়া হল, সম্ভবত মহারাষ্ট্রের জন্যই। অর্থাৎ বিরোধী ঐক্য বৈঠক হচ্ছে। ২৩ জুন পাটনাতে বিরোধীদের বৈঠক হল, সেখানে হাজির থেকেছেন বিভিন্ন দলের নেতারা, ছিলেন এনসিপির প্রফুল্ল প্যাটেল। বৈঠক চলাকালীন সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ ছিল, মিটিংয়ে দলগুলোর আলোচনার বিষয়বস্তু বাইরে এলেও, বিরোধী বিভিন্ন নেতা ঠিক কী কী বলেছেন তা নিয়ে মিডিয়ার গেসওয়ার্কের মাঝেই নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, যেটুকু বলার আমরা তো প্রেস কনফারেন্স করেই বলেছি, বাকিটা আমাদের নিজেদের আলোচনা তা এখনই সবাইকে জানাব কেন? অর্থাৎ বিরোধী ঐক্যের স্ট্রাটেজি বিজেপিকে জানতে দেব কেন? ২৩ জুন বৈঠক হল আর ২ জুলাই, ওই বৈঠকে উপস্থিত এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্তের শরিক হলেন। তো এই যোগদান তো সকালের প্রাতঃকৃত্য কর্তব্য নয় যে সকালে উঠলেন এবং সেরে এলেন। এ নিয়ে আলোচনা চলছিল, ভাগ বাঁটোয়ারার কথা চলছিল, মন্ত্রিত্বের পদ ভাগাভাগির কথা চলছিল, সব থেকে বড় কথা প্রফুল্ল প্যাটেল সমেত এই যোগদানকারীদের বহুজনের নামে ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্সের মামলা ঝুলছে, তার মানে সেসব মামলার কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কম করে হলেও অন্তত মাসখানেক ধরেই এই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এনসিপি ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্যাটেল সমেত অজিতদাদা পাওয়ার ইত্যাদিরা। এরই মধ্যে প্রফুল্ল প্যাটেল শামিল হয়েছিলেন বিরোধী ঐক্যের পাটনা বৈঠকে।
এক পণ্ডিত মানুষকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম লঙ্কাধিপতি রাবণের সবচেয়ে বড় দোষ কী? পরস্ত্রীকে অপহরণ? সীতাকে বন্দি করে রাখা? সীতাকে বিয়ে করতে চাওয়া? তো সেই মানুষটি বলেছিলেন, খুঁজে দেখুন পুরাণে এমন অন্যায় তো অনেকেই করেছেন, এটা অন্যায় বা পাপ তো বটেই কিন্তু প্রথমবার নয়, যেটা সবচেয়ে বড় অন্যায় তা হল ওই ঋষি, সাধু সেজে সীতাকে অপহরণ। এই ঘটনার পরে কোনও সাধুকে দেখে ভক্তি হওয়ার বদলে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ তৈরি হল। অর্থাৎ মানুষের সাধারণ ধারণাকেই বদলে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা, সেটাই সবচেয়ে বড় অন্যায় বা পাপ। এবারে আসুন বিরোধী বৈঠকের কথায়, আপনার এবার থেকে তো মনে হতেই পারে যে এই বৈঠকে আরও কিছু নেতা আছেন যাঁরা রাত পোহালেই বিজেপির হাত ধরবে, ধরতে পারে। যাঁরা আজ না হোক কাল বিরোধী ঐক্য তৈরি করে জিতে আসার পরেও অচানক নরেন্দ্র মোদি দেশ কা নেতা হ্যায় বলে শিবির বদলাতে পারেন। এটা হওয়া সম্ভব, ভেরি মাচ পসিবল। অন্তত মহারাষ্ট্রে এনসিপি ভাঙনের ঘটনা তো সেই কথাই বলছে। প্রফুল্ল প্যাটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তো আরও খতরনাক। তিনি নাকি দাউদ গ্যাংয়ের ইকবাল মির্চির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। ইডির মামলা চলছে শুধু নয়, তাঁর বেশ কিছু কমার্শিয়াল বিল্ডিংয়ে তালা ঝুলিয়েছে ইডি, ভ্যালুয়েশন ৩০০ কোটির উপরে, চূড়ান্ত মিথ্যেবাদী নরেন্দ্র মোদির গ্যারান্টি নিয়ে তিনিও বিজেপিতে শামিল। কিন্তু এটা কি নতুন কিছু? একেবারেই নয়, আমাদের রাজ্যেই শুভেন্দু অধিকারী আছেন, মুকুল রায় আছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় আছেন, দুর্নীতির অভিযোগ এঁদের বিরুদ্ধেও ছিল, আছে, এনাদের বিজেপিতে স্বাগত জানানো হয়েছে। কাঁথির খোকাবাবু তো এখন বিজেপির নয়নের মণি।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | ২০২৪, মোদিজী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন?
নাগাল্যান্ডের দিকে তাকান, নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন যে দলকে নাগাল্যান্ডের সবথেকে বড় দুর্নীতিবাজ দল বলে এলেন অমিত শাহ, সেই দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবার সরকার চলছে বিজেপির। সারদা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত হিমন্ত বিশ্বশর্মা এখন বিজেপির ব্লু আইড বয়। এতটুকু নীতি নৈতিকতা বলে কিছুই নেই মোদিজির, ফিল্মি ডায়ালগ দিচ্ছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আর সেই ডায়ালগ দেওয়ার ক’দিনের মধ্যেই যে দলের বিরুদ্ধে ৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ নিজেই করলেন, সেই দলের প্রায় পুরোটাই চলে এল বিজেপির সমর্থনে। আসলে আমাদের চৌকিদার যখন দুর্নীতির কথা বলেন, তখন বুঝতে হবে উনি বিরোধীদের দুর্নীতির কথা বলছেন, বিজেপিতে এসে গেলে ঢালাও দুর্নীতির লাইসেন্স থাকে, আছে। উনি ইডি, সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী শূন্য করতে চান ভারতবর্ষকে। এটা তো উনি চান, বিজেপি চায়। কিন্তু এর ফলে হচ্ছেটা কী? আসুন সেটাও একটু আলোচনা করে নেওয়া যাক। তাকিয়ে দেখুন, সামনের ডিসেম্বরে ৮৩-তে পা দেবেন শরদ পাওয়ার, গতকাল ভাইপো শুধু নয়, কাছের বেশ কিছু মানুষ দল ছেড়েছেন, আজ তিনি রাজপথে এবং শরদ পাওয়ারকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। কাজেই কহানি অভি বাকি হ্যায়। প্রথম কথা হল বিজেপি-আরএসএস, মোদি-শাহ যে দল ভাঙার খেলায় নেমেছেন, ২০২৪ যে তাঁদের কাছে কেকওয়াক তো ছেড়েই দিন, বেশ গন্ডগোলের, সেটা প্রমাণিত, তা না হলে খামোখা দল ভাঙাতে যাবেন কেন?
মহারাষ্ট্রের সরকারের তেমন তো কোনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সমস্যা ছিল না। তাঁরা এই দল ভাঙানোর খেলায় নামলেন ২০২৪কে মাথায় রেখে। এটা মানুষ বুঝবেন না? মানুষ এই দল ভাঙার রাজনীতি, এই আয়ারাম গয়ারামদের সমর্থন করবেন? ক’দিন আগেই তো তাঁরা শিবসেনার বড় অংশকেই ভেঙে নিজেদের ধারে নিয়ে গেছেন, তারপরেও তাঁরা বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের ভোট করাচ্ছেন না কেন? কারণ ওঁরা জানেন, ভোট হলেই উদ্ধব-শিবসেনা ওখানে জিতবে। সকাল পত্রিকার সমীক্ষা বলছে মানুষের সহানুভূতি শিবসেনা ভাঙার পরে উদ্ধব ঠাকরের দিকেই আছে। এনসিপি কার দল? গোটা মহারাষ্ট্র জানে যে এই দল শরদ পাওয়ারের, নির্বাচনের সময় যাঁরা শরদ পাওয়ারের জন্য এনসিপিকে ভোট দিতেন, তাঁরা অজিত দাদা পাওয়ারকে ভোট দেবেন? অন্যদিকে ২৮৮টা বিধানসভা আর ৪৮টা এমপি আসনের মহারাষ্ট্রে আসন ভাগাভাগি নিয়ে যা হবে, তা কল্পনা করে আরএসএস-এর এক নেতা ইতিমধ্যেই চিন্তিত। মহারাষ্ট্রে আসন ভাগাভাগি হত বিজেপি আর শিবসেনার মধ্যে, তাতেই চুলোচুলি হত, এবার তার মধ্যে আসবে অজিত দাদা পাওয়ার, এনসিপি। উনি কতদিনই বা এই দুধুভাতু উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকবেন? ওনার সমর্থকদেরও তো জিতিয়ে আনতে হবে, সেই আসনগুলোতে বিজেপি নেতারা কি আঙুল চুষবেন? দু’ নম্বর বিষয় নিয়ে আগেও আলোচনা করেছি, বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে জাতীয় স্তরেও মুদ্দা করাপশন। মানে ওই শুভেন্দু অধিকারীও হাস্যকরভাবেই করাপশানের কথা বলেন, এখন সেই ইস্যু মোদিজি তুলবেন কী করে? ক’দিন আগেই বলেছেন ৭০ হাজার ঘোটালার কথা, আজ তারা বিজেপির মন্ত্রিসভার মন্ত্রী, দুর্নীতির কথা বললে এখন ঘোড়াতেও হাসবে। মোদিজি আঞ্চলিক দলের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই অস্ত্র শানান, এগুলো আদর্শহীন দল, এরা দেশের কথা ভাবে না, এবারে কী বলবেন এই এনসিপি নিয়ে? শিবসেনা নিয়ে? এক মিথ্যেবাদী প্রধানমন্ত্রী দেশের স্থায়ী ক্ষতি করেই চলেছেন, এক অগণতান্ত্রিক পথে নিয়ে চলেছেন দেশকে, যেখানে সমস্ত বিরোধিতাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করেই চলেছেন। সংবাদমাধ্যমকে কিনে নাও, সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত মানুষদের নিজেদের দিকে নিয়ে এসো বা জেলে পোরো, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভয় দেখিয়ে দল ভেঙে বিরোধী শূন্য করো দেশকে, এটাই তাঁদের প্রোগ্রাম, এটাই তাঁরা করে চলেছেন, তারই এক নমুনা আমরা ২ জুলাই দুপুরে দেখলাম। কিন্তু ইতিহাস এইভাবে পিছনের দিকেই চলতে থাকবে তা তো নয়, ইতিহাসের অগ্রগতির সামনে এই মিথ্যাচারের যাবতীয় অর্গল ভাঙবেই। কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারী নন, দেশের ইতিহাস লেখেন দেশের আমজনতা, দেশের শ্রমজীবী মানুষ। ২ জুলাইয়ের এই নোংরা সার্জিকাল স্ট্রাইকের জবাব মানুষই দেবে।