পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) নেতাদের বাড়ি ও অফিসে দেশজুড়ে এনআইএ-ইডির যৌথ তল্লাশির পর শুক্রবার কেরালা বনধের ডাক দিয়েছে কট্টরবাদী সংগঠন পিএফআই। এই বনধকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনার সাক্ষী থাকল কোল্লামসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকা।
এদিন ১২ ঘণ্টার কেরালা বনধের ডাক দিয়েছে তারা। সকাল থেকেই তা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কেরালা রাজ্য পরিবহণের (KSRTC) বাসে ইট-পাথর ছোড়ে হরতাল সমর্থকরা। তিরুবনন্তপুরম, কোঝিকোড়, ওয়েনাড় ও আলাপ্পুঝা শহরেও অশান্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Nagpur T20I: বুমরা ফেরার স্বস্তিতেও সিরিজ হারের শঙ্কা, বৃষ্টির ভ্রুকুটি
বৃহস্পতিবার এনআইএর তল্লাশি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই কোয়েম্বাটুরে বিজেপির কার্যালয়ে পেট্রল বোমা ছোড়ে পিএফআই কর্মীরা। আলাপ্পুঝায় রাজ্য পরিবহণের একটি বাস, ট্যাঙ্কার ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খুব ভোরের দিকে সংবাদপত্রবাহী একটি গাড়িতে পেট্রল বোমা ছোড়া হয়েছে। পিএফআইয়ের কেরালার রাজ্য সভাপতি সি পি মহম্মদ বসির সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এদিন হরতাল চলছে।
পিএফআইয়ের শক্ত ঘাঁটি কেরালাতেই ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তার মধ্যে রয়েছেন জাতীয় চেয়ারম্যান ও এম এ সালাম, জাতীয় সম্পাদক নাসিরুদ্দিন ইলামারাম, প্রাক্তন চেয়ারম্যান ই আবুবকর।
সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে। পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে পিএফআইয়ের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। তার মধ্যে কলকাতা তিলজলায় এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িও ছিল।