পিএফআইকে কেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার? যুক্তি হিসেবে কেন্দ্র বলেছে, বেআইনি কার্যকলাপের জন্য আগামী ৫ বছরের জন্য তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর ও ২৭ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ-ইডি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দেশে হিংসা ছড়াচ্ছে ও দেশবিরোধী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
পিএফআইয়ের বাড়বাড়ন্তের জন্য কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিজেপি গত কয়েক বছর ধরেই তোপ দেগে চলেছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পিএফআইয়ের প্রতি কংগ্রেসের নরম মনোভাবেই এদের এত বাড়বৃদ্ধি। দেখা যাক পিএফআই কারা, এদের ইতিহাসই বা কী!
আরও পড়ুন:SBSTC: ৫ দিন টানা ভোগান্তির পর পরিবহণ মন্ত্রীর আশ্বাসে চালু হল বাস পরিষেবা
পিএফআই কারা?
দক্ষিণ ভারতে জন্ম। ২০০১ সালে স্টুডেন্ট ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া বা সিমিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই জঙ্গি সংগঠনগুলি বিদেশি অর্থ সাহায্যে এদেশে ছদ্ম সংগঠন তৈরি করার চাল চালতে থাকে। এর প্রায় ৬ বছর পর ২০০৭ সালে তিনটি মুসলিম সংগঠনকে এক ছাতার তলায় এনে গড়ে তোলা হয় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। কেরালার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি এবং তামিলনাড়ুর মানিথা নীতি পাসারাই মিলে গঠিত হয় পিএফআই। তার ৪ মাস পর ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেঙ্গালুরুতে এক সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে পিএফআই।
পিএফআইয়ের নীতি-আদর্শ কী?
আত্মপ্রকাশের সময়ই তারা ঘোষণা করে, তাদের লড়াই সমাজের দলিত, সংখ্যালঘু এবং তফসিলি জাতির মানুষের জন্য। কন্নড় রাজনীতিতে কংগ্রেস, বিজেপি এবং জনতা দলের (এস) থেকে তারা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে চলতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, এই তিন দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করতে থাকে পিএফআইকে মদত দেওয়ার জন্য। কারণ অবশ্যই মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক। তবে পিএফআই কিন্তু কোনওদিনই রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখা দেয়নি। কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী দেয়নি। দক্ষিণপন্থী সংগঠন যেমন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ বেদিকে এবং আরএসএসের মতোই এরাও সমাজসেবার কাজ করে এসেছে, অবশ্যই মুসলিম সমাজের জন্য। তবে ২০০৯ সালে তারা গড়ে তোলে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া নামে একটি রাজনৈতিক দল। যারা মুসলিম, তফসিলি জাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর গোষ্ঠীর দাবিদাওয়ার ইস্যু নিয়ে কাজ করে।