কোচবিহার: ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর এবার কোচবিহার (Cooch Behar) সফর রাজ্যপালের। সমাজকে সন্ত্রাসমুক্ত করার ডাক দিয়েই শুক্রবার কালিম্পং থেকেই কোচবিহার রওনা দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। সূত্রের খবর, কালিম্পংয়ে বসেই রাজ্যপাল হঠাৎ কোচবিহার সফরের কর্মসূচি ঠিক করেন। সেইমতো সড়কপথে তিনি কোচবিহারে যাত্রা শুরু করেন। পথেই রাজ্যপাল বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে পরিস্থিতি কতটা জটিল, তা জানার চেষ্টা করেন। শনিবার সকালে তাঁর দিনহাটায় যাওয়ার কথা।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক হিংসা শুরু হয়। প্রথম দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মী হিংসার বলি হন। গুলিবিদ্ধ হন আরও কয়েকজন। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রাক ভোট পর্বে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে মারা যান তিনজন। পাশের ক্যানিংয়েও মনোনয়ন পর্ব ঘিরে ব্যাপক অশান্তি হয়।হিংসার ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল, রানিনগর, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর, চোপড়া সহ বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। রাজ্যপাল ক্যানিং এবং ভাঙড়ে ছুটে গিয়েছেন। তিনি বলেন, যেখানে হিংসা হবে আমি সেখানেই যাব।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Patashpur | পটাশপুরে নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে বসে রাজ্যপাল হিংসা বন্ধের জন্য কড়া বার্তা দেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পাহারাদারদের হাতে যেন মৃত্যুঘণ্টা না বাজে। ওইদিন তিনি পাহাড়ের শাসক বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতাদের কাছ থেকে সন্ত্রাসের অভিযোগ শোনেন। শুক্রবার কালিম্পংয়ে একদল ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি যুব সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তারপরই তিনি সড়ক পথে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন।
এই মুহূর্তে কোচবিহার জেলাও রীতিমতো উত্তপ্ত। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেই প্রায় সংঘর্ষ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়ির উপর হামলা হয়েছে। শাসকদল আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গুন্ডা বলে কটাক্ষ করেছে। দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্তচ্রী উদয়ন গুহের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই জেলায় সমস্ত গোলমালের মূলে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল শনিবার দিনহাটায় যাচ্ছেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। তিনি আগেই বলেছেন, আমি জিরো গভর্নর হতে চাই। প্রতিটি জায়গার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব।