হাওড়া: শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিন একাধিক জেলায় ব্যালট বাক্স (Ballot Box) জলে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। আবার কোথাও অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে বিরোধীদের দিকেও। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও ব্যালট বাক্স পুকুরে (Pond) ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তবে এদিন ভোটের বাক্স পুকুরে ফেলার সংখ্যা অনেক বেশি বলেও রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার রাঘবপুর এলাকায় ১৯৫ নম্বর বুথের ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোট চলাকালীন বিজেপি প্রার্থী দলবল সহ বুথে ঢুকে একটি ব্যালট বাক্স নিয়ে পালিয়ে যান। বুথের অদূরে একটি পুকুরে সেই ব্যালট বাক্স ফেলে দেওয়া হয়। ফলে ওই বুথে দীর্ঘক্ষণ ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। পরে নতুন ব্যালট বাক্স এনে ফের ভোট প্রক্রিয়া চালু করা হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুরেও একই ঘটনা ঘটেছে। খেজুরি ২ ব্লকের বারাতলা অঞ্চলে রামচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭৮ নম্বর বুথে ছাপ্পা দেওয়ার কাজ চলছিল। গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করেন। পরে তাঁরা ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেন। সেখানেও ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য।
আরও পড়ুন:Panchayat Election 2023 | Bankura | দিনভর শুনশান, ছাতনার এক বুথে দেখা মিলল না ভোটারদের
হাওড়ার জগৎবল্লভপুর ১ শঙ্করহাটি গ্রামপঞ্চায়েত ২০৭ নম্বর বুথে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই ব্যালট বাক্স উদ্ধার করে। বাগনানেরও একটি বুথে তিনটি ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। বিজেপি এবং তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল ছাপ্পা মারছিল বলে তাদের সমর্থকরা ব্যালট বাক্স নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। পাল্টা অভিযোগ করে তৃণমূলও। পুলিশ স্থানীয় যুবকদের পুকুরে নামিয়ে সেই বাক্স উদ্ধার করে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই ভোট প্রচারে গিয়ে দলীয় কর্মীদের ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলার নিদান দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল ছাপ্পা ভোট দিইতে এলে ব্যালট বাক্স নিয়ে পুকুরে ফেলে দেবেন। একইভাবে বুথ থেকে স্ট্রং রুমে নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যালট বাক্সে কারচুপি করলে তাও কেড়ে নিয়েনপুকুরে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। শনিবার দেখা গিয়েছে, অনেক জেলাতেই ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলার যেন হিড়িক পড়েছে।