নয়াদিল্লি ও চেন্নাই: জয়ললিতার (J Jayalalithaa) দল অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাজাঘম বা এডিএমকে (AIADMK) দলের মুকুট শেষপর্যন্ত গেল তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এডাপাড্ডি কে পালানিস্বামী, সংক্ষেপে ইপিএসের (EPS) মাথায়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে রাজ্য রাজনীতিতে বড়সড় ধাক্কা খেলেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ও পনিরসেলভাম অর্থাৎ ওপিএস (OPS)। এদিন মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই রায় দেয়। গত জুলাই মাসে দলের সাধারণ পরিষদীয় দলের বিতর্কিত এক বৈঠকে এডিএমকে-র যে নিয়মনীতি বদল হয়েছে তা নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছিল। যা নিয়ে পনিরসেলভাম শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, যা এদিন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম নির্দেশে জয়ললিতার উত্তরসূরির দায়িত্ব পেয়ে ইপিএস বলেন, এর ফলে মুখোশের আড়ালে ডিএমকে-র বি-টিম হিসেবে যারা কাজ করছিল, তাদের পর্দা ছিঁড়ে গেল। জয়ললিতা একদিন বিধানসভায় বলেছিলেন, তাঁর দল ১০০ বছর শাসন করবে। এই রায়ে তাঁর কথাই সত্য হতে চলল।
দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ২০১৬ সালে এডিএমকে-র ‘আম্মা’ জয়ললিতার মৃত্যুতে। প্রথমে দলের শাসনদণ্ড হাতে আসে ওপিএসের হাতে। পরে তা দখল করেন ইপিএস। এরপর থেকে কয়েক মাস অন্তর দুজনের লড়াই প্রকাশ্যে আসতে থাকে। যা শেষপর্যন্ত আদালতে গড়ায়। গত সেপ্টেম্বরে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়ে দেয়, ইপিএসই দলের নেতা। কারণ তার আগেই জুলাই মাসের এক বৈঠকে দল ওপিএসকে এডিএমকে থেকে সরিয়ে দেয়।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই ইপিএসের সমর্থকরা উল্লাসে নাচতে থাকেন। চেন্নাইয়ে দলের সদর কার্যালয়ের সামনে বাজি পোড়ানো শুরু হয়। সালেমে পালানিস্বামীর বিশালাকার কাটআউটকে দুধ দিয়ে স্নান করানো হয়। সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করে এডিএমকে নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী ডি জয়াকুমার বলেন, পাণ্ডব-কৌরবের যুদ্ধের মতোই সত্যের জয় হল। এরপর ওপিএসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আ বিগ জিরো।