গোয়া: পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto) বৃহস্পতিবার গোয়া পৌঁছলেন। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে ফরেন মিনিস্টারসদের (Shanghai Cooperation Organisation’s –SCO) মিটিংয়ে যোগ দিতে তিনি এসেছেন। তিনি ভারত (India) রওনা দেওয়ার আগে পাকিস্তানে বলেন, ওই অনুষ্ঠানে বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। এদিন সকালে একটি ভিডিও টুইট করেছেন তিনি। সেখানে ভুট্টো বলেছেন, তিনি গোয়া রওনা হচ্ছেন। গঠনমূলক আলোচনার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া। গোয়াতে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন ফরেন মিনিস্টারস মিটিংয়ের আগে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও চীনের বিদেশমন্ত্রপী কুইন গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। দিনের শুরুটা হয় এসসিও সেক্রেটারি জেনারেল ঝ্যাং মিংয়ের বৈঠক করে। রাতে ডিনারে সব বিদেশমন্ত্রীরা মিলিত হবেন। ঝ্যাং মিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর জয়শঙ্কর টুইটারে লেখেন ভারতকে সভাপতিত্বের সুযোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ভারতীয় সভা্পতিত্বের একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে তা হল সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনকে আরও সুরক্ষিত করা। ভারতের মূল লক্ষ্যের এলাকা হল স্টার্টআপস, চিরাচরিত ঔষধ, যুবশক্তি, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।
প্রায় আট বছর পরে উচ্চ পদস্থ কোনও পাক নেতা-মন্ত্রী ভারতে এলেন। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (Shanghai Cooperation Organisation’s –SCO) বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিলেন তিনি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় ভারতে এসেছিলেন সেসময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif ) ভাই শেহবাজ শরিফ এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঙ্ঘে (UN) বিলাওয়াল ভুট্টো তোপ দাগতে চান দিল্লিকে (Delhi)। যার যোগ্য জবাব ভারত দিয়েছে ইসলামাবাদকে।
আরও পড়ুন:: Pakistan Foreign Minister Bilawal Bhutto in Goa to attend SCO meet
আট সদস্যের সাংহাই কোঅপারেশনে বিশ্বের ৪২ শতাংশ জনসংখ্যা্র প্রতিনিধি রয়েছে। ২৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক জিডিপি রয়েছে এই সদ্স্য দেশগুলির। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির ভারত পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেওয়া। পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিলাওয়াল। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জারা বালোচ এই খবর জানিয়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয় নয়াদিল্লির বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরে ভারত ওই স্ট্রাইক করে। ২০১৯ সালে আগস্ট মাসে জম্মু কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত রাজ্য ঘোষণার পরে সম্পর্কের ফের অবনতি হয়।