নয়াদিল্লি: ‘ওরা নিজেরা কিছু করে না, অন্যকেও কিছু করতে দেয় না।’ বিরোধী দলগুলিকে ঠিক এই ভাষাতেই রবিবার আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, দেশের উন্নতির জন্য বিজেপি সরকার যখনই কিছু করতে যাচ্ছে, তখনই সবকিছুতেই বাধার পাহাড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিরোধীরা। এদিন ৫০৮টি অমৃতভারত স্টেশনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ভাষণদান কালে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নাম না করে তীব্র শেল বেঁধেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশের বিরোধীদের একাংশ এখনও পুরনো বিরোধিতার মনোভাবেই আটকে আছে। ওরা নিজেরাও কিছু করে না, কাউকে কিছু করতেও দেয় না।
দেশ একটি আধুনিক সংসদ ভবন নির্মাণ করেছে। গণতন্ত্রের প্রতীক হল সংসদ। যেখানে শুধু শাসকদলই নয়, বিরোধীদের প্রতিনিধিত্বও থাকে। কিন্তু, বিরোধীদের একাংশের তাতেও আপত্তি, বলেন মোদি। তিনি আরও বলেন, কর্তব্যপথের পুনঃসংস্কার করেছি আমরা, তাতেও তাদের আপত্তি। কংগ্রেসের নাম না করে মোদি বলেন, ৭০ বছরে তারা দেশের বীরসেনানিদের জন্য একটা যুদ্ধস্মারক নির্মাণ করেনি। অথচ যখন আমরা জাতীয় স্মৃতিস্মারক তৈরি করলাম, তার সমালোচনা করতে লজ্জাও বোধ করল না ওরা। বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি হল সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। দেশের প্রতিটি মানুষ এ নিয়ে গর্ববোধ করে। কিন্তু, কিছু রাজনৈতিক দলের বড় নেতা আজ পর্যন্ত তা চোখের দেখা দেখতেও যাননি, অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: অমৃত ভারত প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে রাজ্যের ২১টি স্টেশন
মোদির দাবি, বিরোধীরা যতই নিন্দামন্দ করুক, নেতিবাচক সমালোচনা করুক, আমরা ইতিবাচক রাজনীতিকে লক্ষ্য মনে করে এগিয়ে চলেছি। এর আগে গত ২৭ জুলাই রাজস্থানের সিকরে গিয়ে মোদি বলেছিলেন, কংগ্রেস একটি দিশাহীন দল। বিরোধী জোটের নাম নিয়েও এদিন তুলোধনা করেন মোদি। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমলে মহাত্মা গান্ধী ইংরেজ ভারত ছাড়োর ডাক দিয়েছিলেন। আর আজকের মন্ত্র হল, দুর্নীতি ভারত ছাড়ো, পরিবারবাদ ভারত ছাড়ো, তুষ্টিকরণ ভারত ছাড়ো।
এদিনও ঠিক এই ভাষাতেই বিরোধী মঞ্চকে নিশানা করেন মোদি। একদিন ভারত ছাড়োর ডাকে গোটা দেশ পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ঝাঁপ দিয়েছিল। আর আজ দেশের প্রতিটি মানুষ বলছে, যত অশুভ শক্তি আছে তারা ভারত ছাড়ো।