বেঙ্গালুরু: শুরু হল বিজেপি বিরোধী দলগুলির মহাবৈঠক। সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে হাজির রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর পাশেই চেয়ার রয়েছে বাংলার তৃণমূল নেত্রীর। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন রাহুল গান্ধী, এমকে স্ট্যালিন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নীতীশ কুমার, হেমন্ত সোরেন, ভগবন্ত মান, লালুপ্রসাদ যাদব প্রমুখ।
বিজেপি বিরোধী দলগুলির মহাবৈঠকের আগে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল কংগ্রেস। বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে। এই বৈঠক ভারতের রাজনীতিতে পালাবদল ঘটাতে চলেছে। সোমবার বৈঠক শুরুর আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে চায় বিজেপি। দৃষ্টান্ত হিসেবে তিনি রাহুল গান্ধীর লোকসভা সদস্যপদ খারিজ ও সম্প্রতি মহারাষ্ট্র রাজনীতির কথা তুলে ধরেন তিনি। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এবং কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারও ওই সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন।
আরও পড়ুন: BJP Jibes at CPM | জোট বৈঠক শুরুর দিনই বিজেপি-মমতা সখ্য নিয়ে সেলিমের টুইট
বেণুগোপাল আরও বলেন, কাল বেঙ্গালুরুতে ২৬টি দল এক টেবিলে বসছে। আমরা সেখানে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করব। এখান থেকেই দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সূচনা হবে। এই অবস্থায় বিজেপিও ভয় পেয়ে কালই বৈঠক ডেকেছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে আমাদের মিলিত হওয়ার শক্তি কতটা। আমরা এখানে গণতন্ত্র রক্ষা, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা এবং সরকারি সংস্থাগুলির স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। বিজেপির আমলে এগুলি বিপন্ন।
বিরোধী ঐক্য দেখে বিজেপির ভয় পাওয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, যদি উনি অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের থেকে শক্তিশালী হন এবং তিনি একাই তাঁদের রুখে দিতে সক্ষম হবেন, তাহলে কেন ৩০টি ছোট দলকে নিয়ে ১৮ জুলাই এনডিএ-র বৈঠক ডাকবেন? কোন ৩০ দল থাকবে, তাদের নাম বলুন। তাদের সকলের নাম কি নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত আছে, প্রশ্ন তুলেছেন খাড়্গে। আমাদের দেখাদেখি বিজেপিও নিজের শক্তি দেখাতে আসরে নেমেছে।