টোকিও: সংস্থার ডিজিটাল প্রোডাক্ট (Digital Product) সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে। বলা ভালো, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণ্ডি অতিক্রম করে চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) এখন সারা বিশ্বের মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। হাতে স্মার্ট ডিভাইস থাকলেই, তথাকথিত ইন্টারনেট স্যাভি পিপল ঢুঁ মেরে আসছে চ্যাটজিপিটি অ্যাপে (ChatGPT App)। মাইক্রোসফট থেকে বিপুল পরিমাণ লগ্নি এসেছে। সবটাই চ্যাটজিপিটিকে আরও অ্যাডাভান্সড করে তোলার জন্য। বলতে গেলে, ওপেনএআই এখন সাফল্যের সমুদ্রে ভাসছে। তাই চ্যাটজিপিটির পেরেন্ট কোম্পানি ওপেনএআই ঠিক করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও তাদের শাখা বিস্তার করবে। আর এজন্য তারা প্রথম দেশ হিসেবে পাশে পেতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম অগ্রণী প্রযুক্তি-উদ্ভাবক দেশ জাপানকে। জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনিয়ে বৈঠকও সেরে নিয়েছেন ওপেনএআই সংস্থার সিইও। তিনি নিজেই এই কথা সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Mystery Animal | আমেরিকায় রাতের অন্ধকারে দেখা মিলেছে রহস্যময় জীবের!
জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হিরোকাজু মাৎসুনো (Hirokazu Matsuno, Chief Cabinet Secretary, Japan) এবিষয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida, Prime Minister of Japan) এবং ওপেনএআই সিইও স্যাম অল্টম্যান (Sam Altman, OpenAI Chief Executive) বৈঠক বসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence – AI) প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং যোগ্যতার (Technological Progress and Merits) পাশাপাশি গোপনীয়তা এবং কপিরাইট উল্লঙ্ঘন (Privacy and Copyright Infringement) সহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, অল্টম্যান জাপানে ওপেনএআই’য়ের অফিস খোলার বিষয়ে আগ্রহী। মাৎসুনো জানিয়েছেন, ওপেনএআই’য়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি’র (OpenAI’s ChatGPT Chatbot) মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সম্পন্ন প্রযুক্তি (Artificial Intelligence-Powered Technology) জাপানে প্রবর্তন করার সম্ভাবনা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করবে সেদেশের সরকার। পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখা হবে, এর কী কী উপকারিতা ও ঝুঁকি (Benefits and Risks) রয়েছে।
মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের (Microsoft Corp) আর্থিক পৃষ্ঠপোশকতায় চলা ওপেনএআই’য়ের তৈরি চ্যাটজিপিটিকে ইতালি (Italy) অস্থায়ীভাবে ব্যান (Ban) করেছে। প্রাইভেসি (Privacy) সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অনলাইন দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটির আত্মপ্রকাশের পর সংস্থার সিইও অল্টম্যানের এটাই প্রথম বিদেশ সফর ছিল। জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমরা আশা করছি, জাপানের লোকজনের জন্য আমরা ভালো কিছু গড়ে তুলব, জাপানি ভাষা ও জাপানি সংস্কৃতির জন্য ভালো মডেল তৈরি করব।”
জাপানের ক্ষমতাসীন দলের সদর দফতরে পৃথক একটি বৈঠকেও অল্টম্যান তাঁর আশাক কথা ব্যক্ত করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ভূ-রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে (Geopolitical Power) জাপান বড় ভূমিকা পালন করবে এআই প্রযুক্তি গ্রহণ এবং নিয়ম-নীতি তৈরির ক্ষেত্রে।