নিউইয়র্ক: আমেরিকার কংগ্রেসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বক্তব্য বয়কট করার ডাক সেখানকার এক নেত্রীর। সেখানকার এক রাজনৈতিক নেত্রী আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কার্টেজ (Alexandria Ocasio-Cortez) কংগ্রেসের (Congress) যৌথ অধিবেশনে মোদির বক্তব্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন। অন্যান্য আনষুঙ্গিক দলের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠকও করেছেন। একটি ট্যুইটে এই ডেমোক্র্যাট (Democrat) তাঁর সহকর্মীদের কাছে আবেদন করেছেন বহুত্ব, সহিষ্ণুতা ও বাক স্বাধীনতায় (Freedom of Speech) বিশ্বাস করে তাঁরা যেন এটা বয়কট করেন।
ওকাসিও কর্টরেজ তুল ধরেছেন আমেরিকায় ঢোকায় নরেন্দ্র মোদির নিষেধাজ্ঞা ছিল। প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ভারত কত নম্বরে রয়েছে তা তুলে ধরেছেন তিনি। ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা কতটা রয়েছে তাও তুলে ধরেছেন তিনি। আমেরিকার ,কংগ্রেসের এই আমন্ত্রণকে খুব মূল্যবান ধরা হয়। যেখানে যৌথ অধিবেশনে আমন্ত্রিত ভাষণ দেন। এমন কোনও ব্যক্তিকে ওই সুযোগ দেওয়া উচিত নয়, মানবাধিকারকে যিনি সমস্যায় ফেলেছিলেন। এমনই মত তুলে ধরেছেন ওকাসিও।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | তৃণমূল প্রার্থীর দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
ইতিমধ্যে রশিদা তালেইব ও ইলহান ওমর নামে কংগ্রেসের দুই মহিলা ভারতীয় নেতার বক্তব্য শুনবেন না বলে জানিয়েছেন। মানবাধিকার বিপন্নতার ক্ষেত্রে মোদির ইতিহাস বিবেচনা করা তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ওমরও তাঁর বক্তব্য লিখেছেন। যে সেখানে সাংবাদিকরে টার্গেট করা হয়। উভয় হাউসের ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে জানিয়েছেন মানবাধিকার নিয়ে যেন তাঁদের বৈঠকে আলোচনা করেন। কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে এটা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার বক্তৃতা হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার প্রথমে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) সদর দফতরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক যোগা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আন্তর্জাতিক যোগা দিবসের (International Yoga Day) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর সন্ধ্যাতেই ওয়াশিংটন উড়ে গিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেখানে বিশেষ অভ্যর্থনা দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। নিউ ইয়র্ক রওনা দেওয়ার প্রাক্কালে তাঁর এই মার্কিন সফর প্রসঙ্গে বিশেষ বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আমি ব্যবসায়ী-নেতাদের সঙ্গে দেখা করার, প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে কথা বলার এবং বিভিন্ন স্তরের চিন্তাশীল নেতাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব। বাণিজ্য, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি এবং এই জাতীয় অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই আমরা। এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে অন্তত তিনটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যার মধ্যে একটি ব্যক্তিগত এবং একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যৌথভাবে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ।