নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে শেষ হল আড়াই ঘণ্টার ‘পাওয়ার’ বৈঠক৷ আটটি অবিজেপি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ডাকা বৈঠককে ঘিরে তুঙ্গে ছিল তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের জল্পনা৷ কিন্তু বৈঠক শেষে জানিয়ে দেওয়া হল, এটা কোনও রাজনৈতিক বৈঠক ছিল না৷
এই ব্যাখ্যার পরেও থামছে না জল্পনা৷ মুখে যতই বলা হোক না কেন, রাজনৈতিক মহলের মতে, মিশন ২০২৪-এর লক্ষ্যে এগোচ্ছে বিরোধীরা৷ তবে তার আগে রয়েছে সেমিফাইলান ম্যাচ৷ যেটি ‘খেলা হবে’ আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে৷ এমন প্রেক্ষাপটে অবিজেপি দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে পারলে মোদী-শাহ জুটিকে কড়া টক্কর দেওয়ার মতো জায়গায় চলে যেতে পারবে বিরোধীরা৷ সেই সলতে পাকানোর কাজটা সম্ভবত এদিন থেকে শুরু হল৷ রাজনৈতিক মহল বলছে, এটা হল শুরুর শুরু৷
জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পোল স্ট্র্যাটেজিস্ট পিকে৷ এছাড়া ছিলেন আম আদমি পার্টির সুশীল গুপ্তা, তৃণমূলের যশবন্ত সিনহা, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা, আরএলডি-র জয়ন্ত চৌধুরী, সমাজবাদী পার্টির ঘনশ্যাম তিওয়ারি, সিপিআইয়ের বিনয় বিশ্বম এবং সিপিএমের নিলোৎপল বসু৷ বৈঠকে কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি৷ তাহলে কি কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? এনসিপি নেতা মাজিদ মেমন জানিয়েছেন, কংগ্রেসকে বৈঠকে ডাকা হয়নি একথা ঠিক নয়৷ এমন কোনও বৈষম্য নেই৷ কংগ্রেস নেতাদেরও ডাকা হয়েছিল৷ বিবেক তানহা, মণীশ তিওয়ারি, অভিষেক মনু সিংভিকে ডাকা হয়েছিল৷ কিন্তু তাঁদের কাউকেই দেখা যায়নি৷
মাজিদ মেনন আরও বলেন, ‘এই বৈঠক শরদ পাওয়ার ডাকেননি৷ ডেকেছিলেন যশবন্ত সিনহা৷ এটি কোনও রাজনৈতিক বৈঠক ছিল না৷’ সেই সঙ্গে এই বৈঠকের সঙ্গে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের জল্পনাও খারিজ করে দেন তিনি৷